বীরভূম: কাটআউটে উপরের দিকে জ্বলজ্বল করছে অমিত শাহর ছবি। তার ঠিক নীচেই রবীন্দ্রনাথের ছবি! আর এই কাটআউট ঘিরেই তুমুল বিতর্ক। বঙ্গ সংস্কৃতির অপমান বলে বিজেপিকে তোপ তৃণমূলের। পাল্টা জবাব গেরুয়া শিবিরের।


রবিবার বোলপুরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওইদিন প্রথমে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তারপর বোলপুরে করবেন রোড শো।


অমিতের সফর উপলক্ষে ইতিমধ্যেই কাটআউট, ফেস্টুনে ছেয়ে গিয়েছে শান্তিনিকেতন। যাতে দেখা যাচ্ছে কবিগুরুর উপরে বিরাজ করছেন অমিত!


শান্তিনিকেতন সংস্কৃতি বিকাশ সমিতির নামে একটি অরাজনৈতিক সংস্থার দেওয়া এহেন কাটআউট ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। আশ্রমিক থেকে সাধারণ মানুষ, নিন্দায় সরব সকলেই।


আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, রবি ঠাকুরের ছবিকে এভাবে ব্যবহার করে অসম্মান করা হচ্ছে, রাজনীতি না করা উচিত।


বিতর্কিত কাটআউট ঘিরে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনে শোরগোল শুরু হতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে মরিয়া বিজেপি। বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা বলেন, এরমকম হোর্ডিং বিজেপি লাগায়নি, এসব তৃণমূলের ষড়যন্ত্র, বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার জন্য করা হয়েছে।


রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বারবার অসম্মান করছে রবীন্দ্রনাথ, বাংলার সংস্কৃতিকে অসম্মান করছে, এটা বিজেপিরই কাজ।


রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান মন্তব্য থেকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গ তুলে একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শাসক দলের প্রথম সারির একাধিক নেতা, বিজেপিকে বহিরাগত বলে কটূক্তি করেছেন। বিজেপি বঙ্গ সংস্কৃতি বোঝে না বলেও তোপ দেগেছেন। এই অবস্থায় শান্তিনিকেতনে কাটআউট বিতর্ক আগুনে ঘৃতাহুতি দিল।


এই প্রসঙ্গে অমিত শাহর উদ্দেশে ট্যুইটে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, অমিত শাহ, বাংলার সংস্কৃতির প্রতি আপনার যে যোগ নেই, তা এই ঘটনায় আরও একবার প্রকাশ্যে এল। আপনি নির্বাচন জ্বরে ভুগছেন। এজন্যই আপনি আমাদের কাছে বহিরাগত।


এদিকে, বিতর্কিত কাটআউট নিয়ে খবর সম্প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসে বিজেপি। তড়িঘড়ি খুলে ফেলা হয় কাটআউট।