কলকাতা: জঙ্গলমহলে গিয়ে আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন অমিত শাহ। বাগুইআটি-তে মতুয়া পরিবারের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। তাই নিয়ে লাগাতার আক্রমণ এসেছে বিরোধী শিবির থেকে। 'ফাইভ স্টার বন্দোবস্ত' কটাক্ষে জর্জরিত বিজেপি শিবির।এবার পূর্ব বর্ধমানে কৃষকের ঘরে খাবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা জেপি নাড্ডা।

শনিবার পূর্ব বর্ধমানে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। কর্মসূচির ফাঁকেই, কাটোয়ার জগদানন্দপুরে মথুরা মন্ডল নামে এক কৃষকের বাড়িতে দুপুরে খাবেন জেপি নাড্ডা। নিজে হাতে রান্না করবেন কৃষকের স্ত্রী।

বিজেপি সূত্রে খবর, মেনুতে থাকবে, ভাত, লেবু, শাক, বেগুন ভাজা, আলুভাজা,পাঁচমিশালি তরকারি, সবজি দিয়ে ডাল, ফুলকপির তরকারি, চাটনি,
পায়েস।

এর আগে বোলপুরে যে বাউলের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন অমিত শাহ, তিনি দুঃখ করে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথাই হয়নি। এবার জে পি নাড্ডাকে অ্যাপ্যায়ণকারী কৃষকের স্ত্রীর আশা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে তাঁর কথা হবে। আশা রাখছেন, 'বিজেপি সভাপতি কে খেতে দেবার সময় সুযোগ পেলে বলবো রাজ্য সরকার থেকে কোন সাহায্য পায়নি।'

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কর্মসূচি উপলক্ষ্যে পদ্ম-পতাকায় ছয়লাপ বর্ধমান শহর।
রাস্তায় জেপি নাড্ডার বিশাল বিশাল কাটআউট। চতুর্দিকে ফ্লেক্স-ফেস্টুন। এদিকে, এরইমধ্যে কাটোয়া-জুড়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পতাকায়।

অন্যদিকে জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও প্রধান গৌতম ঘোষালের দাবি, জেপি নাড্ড যে পাঁচ জন কৃষকের বাড়ি থেকে এক মুঠো করে শস্য নেবেন, তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক। দল ইচ্ছা করলে ওই কৃষক পরিবার গুলিকে বারণ করে দিতে পারত। ওঁরা এক মুঠো শস্য বিজেপি-কে দেবেন ঠিকই কিন্তূ ভোট দেবে তৃণমূলকেই।

অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান বিজেপি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের দাবি,তৃণমূলের সবাই এখন বিজেপি তে আসতে চাইছে।

শনিবার নাড্ডার কর্মসূচির আগে, শুক্রবার এলাকা পরিদর্শন করে পুলিশ-প্রশাসন। কৃষক আন্দোলনে উত্তপ্ত উত্তর-ভারত। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায়, খোলা আকাশের নিচে, ৪৪ দিন ধরে আন্দোলনে সামিল কৃষকরা। অষ্টম বৈঠকেও যেখানে কেন্দ্র জট কাটাতে ব্যর্থ, তখন, বঙ্গে কৃষক সুরক্ষা কর্মসূচির সূচনা করতে আসছেন জেপি নাড্ডা। এই নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।