কলকাতা: তিনি সহজ সরল ঘরের মেয়ে, তাই বিরোধীরা তাঁকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে। এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


নবান্নর সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এদিন একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করতে গিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, "অকথ্য, অসত্য, অর্ধসত্য, অর্ধনর, অর্ধনগ্ন ভাষা ব্যবহার করে যাঁকে যখন ইচ্ছা আক্রমণ করা হচ্ছে। ভেবেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেয়ে গিয়েছি।"


তিনি যোগ করেন, "সহজ সরল ঘরের মেয়ে তাই রোজ গালাগালি... সে তো প্রতিবাদ করে না। করতে দাও, কত আর যায় আসে। কারণ সে জানে, শেষ পর্যন্ত জিতব আমিই....।"


এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বভারতী ইস্যু থেকে শুরু করে যেমন বিজেপিকে আক্রমণ করেন মমতা, তেমনই বিনিয়োগ নিয়েও কথা শোনা যায় তৃণমূলনেত্রীর গলায়।


এদিন সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট ইন্ডাস্ট্রি গড়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা। বলেন, সিঙ্গুরে আমরা অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট ইন্ডাস্ট্রি হতে পারে। ১১ একর জমিতে গড়ে তোলা হবে। ব্যবসায়ীদের বলছি, যাতে ইন্টারেস্ট পায়, সেজন্য নানা সুযোগ সুবিধা থাকবে। স্টেশন ও ট্রমা কেয়ার ইউনিটের সংলগ্ন জমি।


পাশাপাশি, তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর গড়া হবে বলেও জানান তিনি। বলেন, তাজপুরে ডিপ সি পোর্টের পরিকল্পনা করেছিল। গ্লোবাল টেন্ডারের বিজ্ঞাপন দেবে রাজ্য সরকার। এটা হবে তাজপুরে। জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। বড় বড় তাবড় বন্দর বিশেষজ্ঞরা যাতে অংশ নেয়, সেজন্য এই ব্যবস্থা। ২৫ হাজার চাকরি হবে। ১৫ হাজার কোটি লগ্নি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমদানি রফতানি বাড়বে। ইস্পাতের আমদানি রফতানি বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৩ শতাংশ ইস্পাত যায়। সেটা আরও বাড়বে। অভূতপূর্ব উন্নতি হবে।


আবার বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। দাবি করেন, বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। তিনি বলেন, আজকের যে অনুষ্ঠান হয়েছে, কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। নো ফোন, নো আমন্ত্রণ, কিছুই জানানো হয়নি আমাকে। এটা বিজেপির অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিল, আমাকে ইনভাইট করা হয়েছিল। এটা আসলে বিজেপির ইভেন্ট।


ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় কবি পার্সি শেলি তাঁর "ওড টু দ্য ওয়েস্ট উইন্ড" কবিতার শেষ লাইনে লিখেছিলেন, "ইফ উইন্টার কামস্ ক্যান স্প্রিং বি ফার বিহাইন্ড? এদিন মমতা তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করেন এই পংক্তি দিয়ে--- "ইফ দ্য পৌষ ইজ নট দেয়ার, উইল দ্য বসন্ত ব্রিং দ্য স্প্রিং অর পলাশফুল...."