কলকাতা: ভোট-পরবর্তী হিংসা রাজ্যে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


বললেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য। যে দলের কর্মী খুন হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য। অর্ধেক বিজেপি ও অর্ধেক তৃণমূল কর্মী মারা গেছেন।’


এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণার পাশাপাশি, বিজেপিকে সংযত হওয়ার সতর্কও করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, কমিশনের অধীনে আইনশৃঙ্খলা থাকাকালীন ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।  


মমতা বললেন, ‘করোনায় বন্ধ মিটিং-মিছিল, তাও কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বাংলায়? ভোট পরবর্তী হিংসা না হওয়ার জন্য শান্তির বার্তা দিয়েছি। সংযত হোক বিজেপি, মানুষের রায় মেনে নিন।’


এদিন কোচবিহারে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহ। এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোচবিহারে গুণ্ডামি একটু বেশি হচ্ছে। উদয়নের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিজেপি আসন বেশি পেয়েছে, সেখানে গুণ্ডামি বেশি হচ্ছে। গুণ্ডামিতে বেশি উস্কানি দিচ্ছে বিজেপি। 


ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিনই রাজ্য এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চার প্রতিনিধির একটি দল। এই বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অক্সিজেন, ভ্যাকসিন নেই তখন কেন কেন্দ্রীয় দল আসে না? দিল্লির দাঙ্গার পর কেন্দ্রীয় দল আসে না।’


তিনি যোগ করেন, ‘কেন্দ্রীয় দল আসতেই পারে, কিন্তু কেউ এলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। বাংলার বাইরে থেকে কেউ এলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা জরুরি।’


ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের ট্যুইট প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপালের কোনও কাজ নেই, সারাদিন ট্যুইট করেন, প্রতিক্রিয়া দেব না।’


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। বিজেপি ফেক ভিডিও ছড়াচ্ছে, মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে। বাংলার বদনাম করার চেষ্টা করছে বিজেপি।’


তিনি যোগ করেন, ‘মহিলারা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে বলে মিথ্যা রটনার চেষ্টা। মন্ত্রীরা এসে প্ররোচনা দিচ্ছে, এগুলি বন্ধ করুন।’