কলকাতা: "যে সমস্ত জিনিস বিক্রি হয় না, তা চৈত্র সেলে বিক্রির চেষ্টা হয়।" তৃণমূলের সভাকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।
বুধবার, ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়ের উপস্থিতিতে "অধিকারী-গড়" বলে পরিচিত কাঁথিতে পদযাত্রার আয়োজন করেছে তৃণমূল।
এদিন প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে তৃণমূলের কর্মসূচিতে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বলেন, "যে সমস্ত জিনিস বিক্রি হয় না, তা চৈত্র সেলে বিক্রির চেষ্টা হয়।" তিনি যোগ করেন, "তৃণমূলর গুদামে যারা পড়েছিল তাদের নিয়ে গিয়ে নানা জায়গায় সভা করছে।"
উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের সরকারি সাহায্য প্রসঙ্গেও আক্রমণ করেন দিলীপ। বলেন, "তালিকায় নেতাদের ছেলেদের নাম ঢোকানো হচ্ছে। আমফানের মতো এখানেও দুর্নীতি হবে। এর কাটমানি যাবে ইলেকশন ফান্ডে।
প্রসঙ্গত গতকালই, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ ট্যাব না থাকার কারণে, পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। যাতে তারা নিজেরাই মোবাইল বা ট্যাব কিনে নিতে পারে।
গতকাল, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষক ও ১০ হাজারের বেশি পুলিশ কর্মী নিয়োগ নিয়ে ঘোষণা করেন। এপ্রসঙ্গে দিলীপের কটাক্ষ, "মরার সময় হরিনাম। ঘোষণা হলেও, নিয়োগ হবে না।"
এর আগে গতকালও, রাজ্য প্রশাসনের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন দিলীপ। মঙ্গলবার, তাঁর নিশানায় ছিলেন তৃণমূলের ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোর। বলেন, কুৎসা প্রচারের হোতা প্রশান্ত কিশোর। নেগেটিভ প্রচার করে তিনি বিজেপির চরিত্র হনন ও বদনাম করার চেষ্টা করছেন।
সোমবার, বাংলায় বিজেপির আসন সম্পর্কে ট্যুইটে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। গতকাল, কাটোয়া পুরসভার সামনে চা-চক্রে বসেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখান থেকেই পিকে-কে ঝাঁঝালো আক্রমণ করে বলেন, দু’ অথবা তিন অঙ্ক যাই হোক, প্রশান্ত কিশোরের চাকরি যাবে, তাই উনি আগে থেকেই গেয়ে রাখছেন। টাকা নিয়েছেন, তাই অর্ধচন্দ্র দিয়ে ওনাকে বিদায় দেওয়া হবে।
দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা নিয়েও কটাক্ষ করেন দিলীপ। বলেন, সরকারের টাকায় মোচ্ছব চলছে। তৃণমূল কর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সেই টাকা।