উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, সিঙ্গুর : এক দশক আগে রাজ্যে পালাবদলের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল যে দুটি জায়গা, শনিবারের সকালে কোথায় গিয়ে তা যেন এক বিন্দুতে মিলে গেল। সিঙ্গুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের হয়ে প্রচারে নামলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।


২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসেক ক্ষমতায় আসার দুই আঁতুড়ঘড় ছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মনে করেন, সিঙ্গুরের আন্দোলন তাঁকে লড়াইয়ের মঞ্চ জুগিয়েছিল, আর পাশে ছিল নন্দীগ্রাম। গত দশবছর ধরে ক্রমাগত এক সারিতে উচ্চারিত হয়েছে যে দুটি জায়গার নাম। এবার সেই দুই জায়গাতেই বামফ্রন্ট তাদের নতুন দুই মুখকে দাঁড় করিয়েছে।


১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটে নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। আগামী ১০ তারিখ সিঙ্গুরে ভোট। তাই জোরকদমে সেখানে প্রচার চালাচ্ছেন সৃজন ভট্টাচার্য। শনিবার তাঁর হয়ে প্রচারে হাজির হলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।


সিঙ্গুরের গত চারবারের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবারে ঘাসফুল শিবিরের হয়ে লড়ার ছাড়পত্র না পেয়ে নাম লেখান পদ্ম শিবিরে। বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে এবারে সিঙ্গুরের প্রার্থী করা হয়েছে। আর তৃণমূলের হয়ে লড়বেন বেচারাম মান্না। তাদের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে মুখোমুখি সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।



মীনাক্ষীর পাশে দাঁড়িয়ে সৃজন বলেন, 'সিঙ্গুরের লড়াই আজ বাড়তি প্রেরণা পেল নন্দীগ্রামকে পাশে পেয়ে। সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করেই একটা প্রজন্মের স্বপ্নভঙ্গ করার চেষ্টা হয়েছিল, আজ সেই দুই জায়গা থেকেই ফিনিক্স পাখির মতো নতুন করে স্বপ্ন উড়ান দেবে। নতুন প্রজন্মের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরের মতো রাজ্যের সব জায়গায় আমরা লড়ছি।'


কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ, বামেদের পুরনো স্লোগানে ফের একবার ভর দেওয়ার বার্তাও উঠে আসে মিছিল থেকে। আর মিছিলে পা মিলিয়ে মীনাক্ষী বলেন, 'নন্দীগ্রামে যাবতীয় চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গিয়েছে, এবার সিঙ্গুরেও হবে। যারা এতদিন তৃণমূলে ছিল, তারা ভাবছে বিজেপিতে গিয়ে সব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, কিন্তু তা হবে না মানুষের আদালতে তাদের দাঁড়তেই হবে।'