হাওড়া: হুইলচেয়ারে বসে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি, ঠিক পাশেই আব্বাস সিদ্দিকি, বিমান বসু, অধীর চৌধুরীরাও। না সশরীরে নয়, ক্ষীরের মোড়কে! অভিনব এই ভাবনা হাওড়ার গন্ধেশ্বরী সুইটসের। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ‘মিষ্টি মোড়ক’এ হাজির করে চমকে দিয়েছে যারা। সঙ্গে হাজির রয়েছে, ‘খেলা হবে’, ‘টুম্পা ব্রিগেড চল’ লেখা মিষ্টিও।


রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। যুযুধান তিন শিবির। একদিকে হুইল চেয়ারে বসেই প্রচারে ঝড় তুলছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা সহ গোটা বিজেপি দলটাই বাংলার ক্ষমতা দখল করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সংযুক্ত মোর্চাও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতির ময়দানে এই তিন প্রতিপক্ষ শিবিরকে একমঞ্চে দেখা যায় না। কিন্তু হাওড়ার মা গন্ধেশ্বরী সুইটসে তাঁরা একসঙ্গে। 


নতুনত্বের এহেন ভাবনা প্রসঙ্গে দোকানের কর্মীরা বলেছেন, 'পুরসভা, পঞ্চায়েত হোক বা লোকসভা, বিধানসভা, সব ভোটের আগেই কিছু না কিছু নতুন রকমের মিষ্টি তৈরি করার চেষ্টা করি আমরা। সবাই মিষ্টিমুখে যাতে লড়াই করেন, সেই বার্তা দেওয়ারই লক্ষ্য থাকে। মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়া থেকে ভোটের আনন্দ সবেতেই তো মিষ্টি সঙ্গে থাকে।' বড় কোনও নেতা যদি মিষ্টির টানে তাদের দোকানে হাজির হন, তাদেরকে মিষ্টি উপহার দেওয়ারও ভাবনা রয়েছে মিষ্টির দোকানের।



মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত, ভোটপ্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদির হাতজোড় করে ভোট প্রার্থনা থেকে একসঙ্গে বিমান বসু, অধীর চৌধুরী ও আব্বাস সিদ্দিকিকে রেখে জোটের বার্তা, যুযুধান সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেই রাখা হয়েছে ভোটমুখী জনতার মন পেতে। পাশাপাশি বঙ্গে আপাতত ভাইরাল হওয়া খেলা হবে ও টুম্পা শব্দবন্ধ লিখেও তৈরি মিষ্টি। সব পক্ষকেই দোকানে স্থান দেওয়ার পাশপাশি সুষ্টুভাবে যাতে গোটা বঙ্গে ভোটপর্ব মেটে, সেই প্রার্থনাও রেখেছেন মিষ্টি নির্মাতারা।


দাঙ্গা, হিংসা, মারামারি দূরে সরিয়ে রেখে যাতে মিষ্টি আবহে গোটা ভোটপর্ব সম্পন্ন হয়, সেটাও প্রার্থনা তাদের।