রাণা দাস, কাটোয়া: ভোটের আগেই বিজয়োৎসব। ২২ এপ্রিল কাটোয়ায় বিধানসভা ভোট। তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে করানো হল মিষ্টিমুখ। শাসকদলের দাবি, নন্দীগ্রামে জিতছেন দলনেত্রী, সেই জন্যই বিজয়োৎসব, যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তাদের দাবি, হেরে যাবে জেনেই কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে এই মিষ্টিমুখ করানো।


ভোটমুখী বঙ্গে ফের ধরা পড়ল বেনজির ছবি। কাটোয়ায় পার্টি অফিসে বিজয়োৎসব পালন করলেন তৃণমূল কর্মীরা। ২২ এপ্রিল কাটোয়া বিধানসভায় ভোট। তার আগে দলীয় কর্মীদের মিষ্টিমুখ করালেন কাটোয়ার তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। স্লোগান উঠল, ভাঙা পায়ে খেলা হবে। তাঁর দাবি, নন্দীগ্রামে বিপুল ভোটে জিতছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জয়ের আনন্দ আগাম পালন করতেই এই মিষ্টিমুখ।


যুব তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারছেন বলে মিথ্যা প্রচার করছে বিজেপির আইটি সেল। সেই মিথ্যা প্রচারের মোকাবিলা করতেই পার্টি অফিসে আগাম বিজয়োৎসব পালন করা হয়েছে। বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূল হারছে জেনে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ২ মে ফল ঘোষণার পর বিজেপির তরফে মিষ্টি বিলি করা হবে।


ধাপে ধাপে ভোটের সঙ্গেই চড়ছে জয়ের দাবি, পাল্টা দাবিও! তৃণমূল-বিজেপি উভয়েরই দাবি, এখনও পর্যন্ত যে ৬০টি আসনে ভোট হয়েছে, তারমধ্যে ৫০টি আসনে জিতছে তারা।


২৯৪টি আসন বিশিষ্ট বাংলায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৮। ভোটের ফলাফলে কড়া টক্কর হবে? না কি একপেশে ফল হবে, অর্থাৎ এক পক্ষ, অপরপক্ষের ঝড়ে উড়ে যাবে? না কি অত্যন্ত তাৎ‍পর্যপূর্ণভাবে, নতুন প্রজন্মকে সামনে রেখে, জোট বেধে ভোটে নামা বাম-কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন হবে এবং তারাই নির্ণায়ক হয়ে উঠবে, তার উত্তর মিলবে ২ মে! কিন্তু, তার আগেই তৃণমূল-বিজেপি নিজেদের মতো করে ফলের ভবিষ্যদ্বাণী করেই চলেছে। এদিকে, তৃণমূল-বিজেপি যেভাবে এক এক দফার ভোট মিটতে না মিটতেই, আসন সংখ্যা নিয়ে দাবি করে চলেছে, তা নিয়ে কটাক্ষের সুর জোটের গলায়।


ইতিহাস বলছে, ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলায় যে দলই ক্ষমতায় এসেছে তারা ২০০-র বেশি আসন পেয়েছে। ব্যতিক্রম হয়েছিল শুধুমাত্র ২০০১ সালে। সেবার বামফ্রন্ট ১৯৯টি আসন পেয়েছিল।