সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়ার শান্তিপুরে দোল উপলক্ষ্যে গোপালপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় দুই বারোয়ারি পুজো কমিটির মধ্যে গন্ডগোলে চলল গুলি। গতকাল রাতের ওই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গুলি চালিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে।


রঙের উৎসবেই ঘটল রক্তপাত! বিসর্জনের শোভাযাত্রায় শ্যুটআউট। গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূলের এক কর্মী। মারধর করা হল আরও এক তৃণমূল কর্মীকে। সোমবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ শান্তিপুরের ডাকঘর মোড় দিয়ে শোভাযাত্রা যাচ্ছিল। কারা আগে যাবে, তা নিয়ে দু’টি বারোয়ারি পুজো কমিটির মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তার মধ্যেই আচমকা ২ রাউন্ড গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিৎ পাল। রাজেন সাহা নামে আরেক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। যদিও, তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান।


আহত তৃণমূল কর্মী রাজেন সাহা বলেন, ‘‘শোভাযাত্রা যখন যাচ্ছিল, তখন গন্ডগোল হয়। আমার গলার হার ছিনিয়ে নেয় একজন। তারপর আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তা পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে কয়েকজন।’’


রঙের উৎসবে এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। গুলি চালানোর নেপথ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও, তা মানতে নারাজ শাসক দল। শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র বলেন, ‘‘গতকালের ঘটনা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঘটিয়েছে।  বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। তারপর তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’’


শান্তিপুর শহর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি বিপ্লব কর বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নয় ৷’’


শান্তিপুরে ভোট রয়েছে পঞ্চম দফায়। যে পর্বের ভোটগ্রহণ ১৭ এপ্রিল। তার আগে এই ঘটনা ঘিরে সরগরম গোটা এলাকা। এর রেশ কতদূর গড়ায় আপাতত সেটাই দেখার।