মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৌশিক গাঁতাইত: পুলিশ, র্যাফের সামনে একে অপরের দিকে আস্ফালন, তেড়ে যাওয়া। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির সংঘাত দক্ষিণ থেকে উত্তরবঙ্গে, উত্তপ্ত রাজ্যের একাধিক জেলা। আসানসোল ও দুর্গাপুরে মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত বাঁধে। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে উত্তেজনা ছড়ায় মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরেও। এই নিয়ে একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি। সোমবার ছবিটা ছিল এমনই।
দক্ষিণবঙ্গের দুর্গাপুর থেকে আসানসোল বা উত্তরবঙ্গের মালদা, এদিন দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের দফতরে দুর্গাপুর পূর্ব, পশ্চিম এবং পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে আসেন।তৃণমূলের তিন প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করে বেরিয়ে আসতেই বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের মুখোমুখি হন। তখনই হাতাহাতিতে জড়ায় দু’পক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ ও র্যাফ। পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এটা বিজেপির সংস্কৃতি, ওরাই গন্ডগোল করেছে, ভোটে মানুষ জবাব দেবে৷’’
মনোনয়নের সময় স্লোগান, পাল্টা স্লোগান ঘিরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদার জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বর। জয় শ্রীরামের পাল্টা ওঠে জয় বাংলা স্লোগান। মানিকচকের তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র জানান, ‘‘বিজেপি উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করে, ওরা প্ররোচনা হুমকি দেয়, এভাবেই বাংলায় ভোট করতে চায় ৷’’ মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘তৃণমূল বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে, আমাদের লোকজন সামাল দেয় ৷’’
আসানসোল মহকুমাশাসকের দফতরেও অশান্তির ছবি। এদিন তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থী পরপর মনোনয়ন জমা দেন। দুই দলের প্রার্থীদের অনুগামীরা বচসায় জড়ান। কিছুদিন আগেই ব্যারাকপুর উত্তাল হয়েছিল মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। প্রথমে রাজ চক্রবর্তীর মনোনয়ন জমার সময় তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ বাঁধে। ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী রাজ মহকুমা শাসকের অফিসে ঢোকার পরই দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। ইটবৃষ্টি সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল পুলিশকে। যে ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পের শুভ্রাংশু রায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উত্তপ্ত হয়েছিল পরিবেশ।