কলকাতা:  এবার কয়লাকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন ট্যুইটারে অভিষেক লেখেন, ‘সব কয়লা খনিই কেন্দ্রের অধীন, যা রক্ষা করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সব কয়লা খনিই কেন্দ্রের অধীন, যা রক্ষা করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিজেপি যদি মনে করে, তৃণমূল নেতারা অবৈধ খনি থেকে টাকা পাচ্ছে, তাহলে যাঁরা জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করতে পারে না, সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না কেন? আরেকটি ট্যুইটে অভিষেক লেখেন, বিজেপি যদি মনে করে থাকে, কয়লা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরা নিজেদের বস (মোদি-শাহ)-র নির্দেশ মানার চেয়ে তৃণমূল নেতাদের মানতে বেশি তৎপর, তাহলে তা নিতান্তই হাস্যকর। কাকে বোকা বানাচ্ছে বিজেপি?’
এদিকে, পুরুলিয়ার প্রাক্তন পুলিশ সুপারের পর এবার কয়লাকাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে রঘুনাথপুরের এসডিপিও। এদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন এসডিপিও দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রশাসনিক কর্তার কাছে জানতে চাওয়া হবে, এসডিপিও হিসেবে ইএসিএলের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? ব্যবস্থা না নিলে কেন নেননি? অনুপ মাঝিকে চিনতেন কিনা সেই প্রশ্নও রঘুনাথপুরের এসডিপিও-কে করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। 
রবিবার সিন্ডিকেটকাণ্ডে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই অডিও টেপে যে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে তাঁরা হলেন, গণেশ বাগারিয়া নামে এক ব্যবসায়ী ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্র, যার নাম ইতিমধ্যেই কয়লাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে। বিজেপির আরও দাবি, নির্বাচনের কাজে এই টাকা ব্যবহার করছে তৃণমূল।
গতকাল, সিন্ডিকেট নিয়ে ভাইরাল অডিও ঘিরে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। কয়লা, গরু পাচারের ৯০০ কোটি টাকা গেছে ভাইপোর কাছে। কয়লাকাণ্ডে বাঁকুড়ার আইসি গ্রেফতার হতেই নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, কয়লা, বালি, গরু পাচার-সহ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সরাসরি ভাইপোর কাছে পৌঁছে দিয়েছে বিনয় মিশ্র, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পুলিশ অফিসার অশোক মিশ্র বড় র‍্যাকেট।
এদিকে, এই অডিও টেপ বিতর্কে বিজেপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজই সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান ব্রাত্য বসু। একইসঙ্গে কয়লামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছে তৃণমূল। যা বলার বলে দিয়েছি। এখন পুলিশকে দেয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।