প্রবীর চক্রবর্তী ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা:  বেহালা পূর্ব, বিধাননগর এবং রাজারহাট নিউটাউন, এই তিন কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্ধীদের পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে রাতের অন্ধকারে।  আজ সকালে ঘটনাটি তৃণমূল কর্মীদের চোখে পড়ে।  শুধু দলীয় প্রার্থীদের পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল।  অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। 


কলকাতার তিন বিধানসভা সভা কেন্দ্রের তিন জায়গায় পোস্টার, হোর্ডিং ছেঁড়াকে ঘিরে উত্তেজনা। তিন জায়গাতেই রাতের অন্ধকারে ছেঁড়া হয়েছে শুধু তৃণমূলের পোস্টার। অন্য দলের পোস্টার, হোর্ডিংয়ে হাত পড়েনি। বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ১২২ নম্বর ওয়ার্ডে  ওস্তাদ আমির খাঁ সরণি  থেকে শুরু করে অরবিন্দ পল্লি পর্যন্ত  প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায়  ছেঁড়া হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের পোস্টার। সোমবার সকালে বিষয়টি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের চোখে পড়ে। ওই রাস্তায় বিজেপি বা সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর পোস্টার, হোর্ডিং অবশ্য অক্ষত। ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। 


১২২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী তারক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসছে বিজেপি। এটা বিজেপির দুষ্কৃতীদের কাজ ৷’’দক্ষিণ কলকাতা জেলা মণ্ডলীর বিজেপি সভাপতি শঙ্কর শিকদার বলেন, ‘‘বিজেপি এই ধরনের কাজ করে না। তৃণমূল নিজেরাই খুলে দিয়ে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার।’’


হরিদেবপুর থানায় পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি দোকানের সিসি ক্যামেরায় রবিবার রাতে এক ব্যক্তিকে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে দেখা গেছে। কিন্তু সেই ফুটেজ দেখে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে চিনতে পারেননি। রবিবার রাতেই বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসুর একাধিক পোস্টার, হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়।  বিধাননগর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তনগরে ঘটনা ঘটেছে।  যদিও অন্য দলের কোনও প্রার্থীর পোস্টার, হোর্ডিং ছেঁড়া হয়নি।


বিধাননগরের ৩৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী উত্তম সিনহা বলেন, ‘‘আজ সকালে দেখা যায় সুজিত বসুর হোর্ডিং ছেঁড়া।  অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি৷’’ বিধাননগর বিজেপি নেতা ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ সিংহ বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর সঙ্গে বিজেপি জড়িত নয়।’’


ঘটনায় বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। এদিন সকালে রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী তাপস চট্টোপাধ্যায়েরও পোস্টার, হোর্ডিং  সর্দারপাড়ায় ছিঁড়ে পড়ে থাকতে দেখেন তৃণমূল কর্মীরা।  ওই এলাকার বিজেপির সব পোস্টার যদিও অক্ষত। এই ঘটনা নিয়ে টেকনোসিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।