Suvendu Challenges Mamata: 'নন্দীগ্রামে মমতার সভা ৭ তারিখে, জবাব দেব ৮-এ', তৃণমূলনেত্রীকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

"তৃণমূলের বিদায় হবে, পদ্ম ফুটিয়ে ঘুমোতে যাব", তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়কের

Continues below advertisement
 

কাঁথি: কাঁথির সভা থেকে নন্দীগ্রামে পাল্টা সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চ্যালেঞ্জ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘নন্দীগ্রামে ৭ তারিখে আসছেন, কী বলবেন আমি জানি। পাল্টা ৮ তারিখে বিজেপির সভায় সব উত্তর দেব। মমতা সরকারি ক্ষমতা দিয়ে লোক আনবেন, আমার সঙ্গে ভালোবেসে থাকবে মানুষ।’

Continues below advertisement

শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, পদ্ম ফুটিয়ে তিনি ঘুমোতে যাবেন। বলেন, ‘তৃণমূলের বিদায় হবে, পদ্ম ফুটিয়ে ঘুমোতে যাব।’ লাল চুল, কানে দুল, তার নাম যুব তৃণমূল।’ বিজেপি নেতার দাবি, ‘দুই মেদিনীপুরে ৩৫টি আসনেই বিজেপিকে জেতাব।’

মেদিনীপুরের উন্নয়ন ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুরে বলেছিল মেডিক্যাল কলেজ দেবে, দেয়নি কেন? ভাইপোর ডায়মন্ডহারবার জোড়া মেডিক্যাল কলেজ, জোড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছে।’

কাঁথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে জনসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘একুশে বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। পুলিশ দলদাস থেকে ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে। আমার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না, রোড শো-তে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছে। জনগণ আমাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’

শুভেন্দু বলেন, ‘২০১১ সালের আগে তৃণমূলকে দেখা যেত না। ২০১১ সালের আগে জুনপুরে পদযাত্রায় ছিল না তৃণমূল। শুধু বক্তৃতা করেই চলে যেত তৃণমূল।’

নাম না করে ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘উপনির্বাচনে টিকিট পায়নি বলে মমতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘তৃণমূলের পায়ে শুভেন্দু-কাঁটা ফুটেছে। এটা জেলার সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার লড়াই নয়।’

বলিউড সুপাপস্টার শাহরুখ খানের ছবির একটি বিখ্যাত সংলাপকে মনে করিয়ে দিলেন শুভেন্দু। বলললেন, ‘এটা ট্রেলার দেখছেন, সিনেমা বাকি আছে। ভাইপো ক্যাডার পুলিশদের পাঠিয়েছে। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘বিজেপি ক্ষমতায় আসছে, ১০ বছর কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে থাকবে হবে।

সৌগত রায়কে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘সৌগত রায় বড় বড় কথা বলে গেছেন। ১৯৯৮ সালে একদিকে মমতার পতাকা, অন্যদিকে বিজেপির পতাকা। তখন কী বলেছিলেন সৌগত রায়, সবাইকে শোনাব। বনগাঁতে সৌগত রায়ের প্রচারের জন্য আমাকে পাঠিয়েছিল। ’

শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, তিনি কু-কথা বলেন না। বলেন, ‘আমি অশালীন কথা বলি না, অন্যদের দিয়ে অশালীন কথা বলাচ্ছে তৃণমূল।’

শুভেন্দুর দাবি, যে সময় কেউ কিরণময় নন্দ, লক্ষ্মণ শেঠের বিরুদ্ধে কেউ লড়তে চায়নি সেই সময় তিনি লড়াই করে দলকে বাঁচিয়েছিলেন। বলেন, ‘কিরণময় নন্দের বিরুদ্ধে কেউ লড়তে চায়নি, আমি লড়ে পার্টিকে বাঁচিয়েছিলাম। লক্ষ্মণ শেঠের বিরুদ্ধে কেউ লড়তে চায়নি, আমি লড়েছিলাম।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola