কলকাতা: ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বাংলায় বিধানসভা ভোটের ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। আর দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক অশান্তি আরও বাড়ছে।


ভোট নিয়ে বাগযুদ্ধের মধ্যেই রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।


আইন শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যের রিপোর্টে, যখন অসন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ বিএসএফের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে গ্রামে গ্রামে বিএসএফের কর্তারা গিয়ে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সহায়তা করার জন্য, তারা ভয় দেখাচ্ছেন, তারা বলছেন তোমরা যদি ভোট না দাও তাহলে জেলাশাসক তোমাদের ক্ষমতায় রাখতে পারবে না, এটা জাতীয় নির্বাচন কমিশন হস্তক্ষেপ করুক।


যদিও, বিএসএফের তরফে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে অভিযোগ তুলছেন, তা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং সত্য থেকে অনেক দূরে।


এদিকে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপির পাল্টা দাবি, ভোটার তালিকায় অনুপ্রবেশকারীদের নাম ঢোকানো হয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ৩-৪ লক্ষ অনুপ্রবেশকারীর নাম তোলা হয়েছে ভোটার তালিকায়। রোহিঙ্গাদের ঢোকানো হয়েছে। কমিশন নজর দিক। সমস্ত নির্বাচন কমিশনের অফিসারদের ওপর নজর রাখতে হবে।


সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব বলেন, ভুতুরে ভোটার আছে, এখনও মৃতের নাম ভোটার তালিকায়, সেগুলি সরাতে হবে। শুক্রবার সংবাদিক বৈঠকের পর রাজ্য ছাড়বে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।


এদিকে, নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের প্রথম দিনের বৈঠকেই ধাক্কা খেল রাজ্য প্রশাসন। সূত্রের খবর, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। দফায় দফায় ডেকে পাঠানো হয় এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে।


বৃহস্পতিবার দিনভর শহরের অভিজাত হোটেলে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন, চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরা, ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার সুশীল চন্দ্র-সহ ফুল বেঞ্চের প্রতিনিধিরা।


রাজ্য প্রশাসনের তরফে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এখনও পর্যন্ত যা যা রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট নয় নির্বাচন কমিশন। মোট তিন দফায় এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং-এর সঙ্গে সুনীল আরোরাদের কথা হয়।