'প্রার্থনা করলাম দেবী যেন ওনাকে সত্ বুদ্ধির উদয় করে ও সঠিক মানুষের দ্বারা পরিচালিত হন, ঘর ভাঙার বুদ্ধি না দেন বিষাক্ত লোকেরা।' যিনি একথা বলছেন, তিনি সদ্য বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আর যাঁর সম্পর্কে বলছেন, তিনি বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি সুজাতা মণ্ডলের স্বামী। তবে কয়েকদিন আগেই স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস ধরিয়েছেন।
গতমাসে আচমকাই সুজাতা মণ্ডল দল বদল করেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন সৌমিত্র-পত্নী। এরপরই ধরানো হয় বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস। দাম্পত্য বিবাদের নাটক চরমে ওঠে। স্ত্রী শত্রুপক্ষে যাওয়াতেই যে আর সংসার করতে চান না, নোটিস পাঠিয়েই তা পরিষ্কার করে দেন বিজেপি সাংসদ। সাংবাদিক সম্মেলনে চোখের জল সামলে সৌমিত্র খাঁ বলেন, 'বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠাচ্ছি। হাতজোড় করে বলছি সই করে দিও, সব সম্পর্ক শেষ, খাঁ পদবি ছেড়ে দিও।'
দাম্পত্য জীবনে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির রাজবাড়ি শিবমন্দির ও বোদাগঞ্জে ভামরিদেবীর মন্দিরে পুজো দেন সুজাতা মণ্ডল। এরপরই সৌমিত্রর উদ্দেশে ঘরে ফেরার বার্তা দেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল পুজো দিয়ে বলেন, 'দল ও পরিবারের মঙ্গল চাইলাম, পরিবারের মধ্যে উনিও পড়েন, উনি ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন, উনি অনেককে দিয়ে ফোন করাচ্ছেন বুঝতে পারছি, সরাসরি ফোন করার সত সাহস হচ্ছে না।'
সংসার জোড়া লাগুক, এই আশা করেও সুজাতাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেছেন, 'আমরা আশা করব সব পরিবার জোড়া লাগুক, সবাই আমরা এক পরিবারের সদস্য, ওনারই শুভবুদ্ধির উদয় হোক, উনি যাদের বিষাক্ত বলছেন কয়েকদিন পর টের পাবেন কে বিষাক্ত।'
দূরত্ব কি ঘুচবে? আবার কি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে সৌমিত্র-সুজাতার দাম্পত্য জীবন? উত্তর পেতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে।