কলকাতা: আপনি বিশ্বাসঘাতক? বিজেপিতে গিয়েছেন নারদকাণ্ডে গ্রেফতারি এড়াতে? আপনি এই বাংলার সবথেকে বড় তোলাবাজ?


সাম্প্রতিককালে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর দিকে ধেয়ে এসেছে একের পর এক প্রশ্নবাণ। মঙ্গলবার সব প্রশ্নের জবাব দিতে চলেছেন নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র।


এবিপি আনন্দে এসে অকপট শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে শুভেন্দু জানাচ্ছেন, তিনি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। বলছেন, ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সুদীপ্ত সেনের টাকায় নির্বাচন করেছিল।


আবার কখনও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, তাঁকে যুব সভাপতির পদ থেকে সরানো নিয়ে। প্রশ্ন করছেন, কোন কারণে নেতাজি ইন্ডোরে ৩ হাজার নেতাকর্মীকে ডেকে তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে যুব সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।


বিবাদটা আসলে কি শান্তিকুঞ্জ বনাম শান্তিনিকেতন? উত্তর দিলেন শুভেন্দু। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে পরিবারতন্ত্র খারাপ, আর কাঁথিতে ভাল --এটা হয় কী করে? দিচ্ছেন সেই জবাবও।


কোনও কৃতজ্ঞতাবোধ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি? সেই উত্তরও দিয়েছেন তিনি।


শুভেন্দু অধিকারী কি শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের থেকে বড়মাপের অভিনেতা? কী বললেন শুভেন্দু।


কখনও তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে বলছেন, "দেড়টা লোক সব চালাবে...অল আর ল্যাম্পপোস্ট!!"


প্রশ্ন উঠেছে বিজেপিতে যাওয়ার নেপথ্যে ডিল নিয়েও। মুখ্যমন্ত্রিত্ব, উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব...সেই প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন শুভেন্দু।


২০০৭-এর নন্দীগ্রাম আন্দোলন। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী!


তৃণমূল আমলে নন্দীগ্রাম মানেই ছিল অধিকারী পরিবার। অনেকে বলতেন, অধিকারী পরিবারের চোখ দিয়েই পূর্ব মেদিনীপুরকে দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় নন্দীগ্রাম কিংবা পূর্ব মেদিনীপুর মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ছিল অধিকারী পরিবার।


কিন্তু ১৪ বছরের ফারাকে বদলে গিয়েছে প্রেক্ষাপট! হলদি নদীর জলের গতি অবশ্য এখন পাল্টেছে! আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী ভিন্ন মেরুতে। একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।


শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ সব সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে। শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু এখন বিজেপিতে। শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূল সাংসদ, কিন্তু তৃণমূলে নিষ্ক্রিয়।


তিক্ততা এতটাই যে সোমবার গড়ে দাঁড়িয়েই একবারও অধিকারী পরিবারের কারোর নাম মুখেও আনলেন না তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, নাম না করে ছত্রে ছত্রে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারীকে।


বিধানসভা ভোটের মুখে চমক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে দাঁড়িয়ে তাঁকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন! দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের গড়ে দাঁড়িয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিলেন শুভেন্দু!


দলবদলের পর প্রথম কোনও চ্যানেলে শুভেন্দু অধিকারী। চোখ রাখুন এবিপি আনন্দের পর্দায়। রাত ৮টায়।