চাকদহ : ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা। নদিয়ার চাকদা থানার শিমুরালিতে এক বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠল খুনের অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে বোমাবাজির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। অশান্তির আঁচ পড়ল মধ্যমগ্রামেও। যেখানে জখম হয়েছেন চার বিজেপি কর্মী।
পঞ্চম দফার ভোটে দফায় দফায় অশান্তির ছডিয়ে পড়েছিল নদিয়া। ভোট পরবর্তী হিংসাও ছড়িয়ে পড়ল সেখানে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের এক কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। রবিবার সকালে বাড়ি লাগোয়া বাগানে এক বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনিয়া। চাকদা থানার রাউতাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুরালি মণ্ডলপাড়ার ঘটনা।
গতকাল পঞ্চম দফার ভোট ছিল চাকদহে। শিমুরালির ২১১ নম্বর বুথে ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন লাইন ঠিক করছিলেন দিলীপ। সেই সময় তাঁকে বিজেপির এজেন্ট ঋষিপন বিশ্বাসের সামনেই হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর আজ সকালে বাড়ির অদূরে বাগানে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। সেইসময় তাঁর কান এবং মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। এই অবস্থায় তাঁকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, আগেই মৃত্যু হয়েছে দিলীপের।
ভোটপর্ব মিটতেই অশান্তি ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি ও মধ্যমগ্রামেও। গতরাতে পানিহাটির বিটি রোড এলাকায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ এলাকার বিদায়ী বিধায়ক নির্মল ঘোষের। চলন্ত গাড়ি থেকে বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর অভিযোগ, "এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলতে ওরা বোমা ছুড়েছে। ভাটপাড়া, কামারহাটি ও টিটাগড় থেকে বিজেপির দুষ্কৃতীরা এসেছিল। মানুষ হিংসা সহ্য করবে না।" যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
অন্যদিকে ভোট মিটতেই গতরাতে মধ্যমগ্রামে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জখম চার বিজেপি কর্মী। এক বিজেপি কর্মী সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, "দলীয় কর্মী রাজ কুমার ঘোষ গুরুতর জখম। তাঁকে প্রথমে মধ্য়মগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বারাসত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যদের মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে।"