হাওড়া: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে পড়ল বহিরাগত পোস্টার।


ডোমজুড় কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দের নামে ওই পোস্টারে লেখা, "স্যুটে-বুটে পরিযায়ী আর নয়, এবার ভূমিপুত্র চাই"।


এদিন সকালে সলপ ও বাঁকড়ার একাধিক জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সহ এ ধরনের পোস্টার দেখা যায়। বেশ কয়েকদিন ধরেই বেসুরো রাজীব বন্দ্যেপাধ্যায়। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বনমন্ত্রী।


সম্প্রতি একসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া দাদার অনুগামীদের পোস্টারে ছেয়ে যায় ডোমজুড় বিধানসভা এলাকা।


এই পরিস্থিতিতে রাজীবের বিধানসভা কেন্দ্রে বহিরাগত পোস্টার পড়ায় তৈরি হয়েছে জল্পনা। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


প্রসঙ্গত, গতকাল হুগলির কোন্নগরে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ব্যানার পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। ব্যানারের নীচে লেখা, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ।


শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সে জায়গায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিরুদ্ধে ফোঁস করলেও এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। কাজেই শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি তাঁর নামে ব্যানার পড়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে জেলার রাজনীতিতে।


তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের অভিযোগ, এই ব্যানার দেওয়া বিজেপির কাজ। যদিও বিজেপির তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করা হয়েছে, এ সবই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।


এদিকে, রাজীবের ক্ষোভ প্রশমনে গতকালও চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মান ভাঙাতে সোমবার ফের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


দু’জনের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা হয়। যদিও বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে দু’জনেই বিশেষ কিছুই বলতে চাননি। বৈঠকের পর বনমন্ত্রী বলেন, মহাসচিব ডেকেছেন, তাই এসেছি। এর আগেও অনেকবার এসেছি, কাজকর্ম নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে, দলপরিবর্তন? সেরকম কোনও বিষয় নেই, ডেকেছিল তাই এসেছি।


পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলের সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলব, এতে বলার কী আছে। আপনারা তো সব কিছুতেই ব্রেকিং নিউজ খুঁজে বেরান, সেরকম কোনও বিষয় নয়।