কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে কোন্দলের অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারীর ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি ‘দাদার অনুগামীদের’। দলীয় কোন্দলের কথা অস্বীকার করেছে বিজেপি। ব্যারাকপুরে ছেঁড়া হল শীলভদ্র দত্তের ফ্লেক্স। বিজেপির দাবি, ঘটনার নেপথ্যে হাত রয়েছে তৃণমূলের। তৃণমূল জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাঁদের হাত নেই।

শুভেন্দু অধিকারী-শীলভদ্র দত্তরা বিজেপিতে যোগদানের পর পরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অব্যাহত অশান্তি। ছিঁড়ে দেওয়া হল তাঁদের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স। দাদার অনুগামী বলে পরিচিত এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগও উঠল।।

গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানা এলাকার মকরামপুরে ‘শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্রে’র উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, উদ্বোধনের ৩ দিনের মাথায় সোমবার ওই কার্যালয়ে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেন ‘দাদার অনুগামী’ বলে পরিচিত সন্দীপ মেটিয়া।

ওই যুবকের অভিযোগ, পতাকা লাগানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকজন যুবক ওই কার্যালয়ে হামলা চালায়। শুভেন্দু অধিকারীর ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেয় তারা। পুড়িয়ে দেয় পোস্টার।তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।এই ঘটনাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এসেছে আদি ও নব্য বিজেপির কোন্দল।

আক্রান্ত ‘দাদার অনুগামী’ সন্দীপ মেটিয়ার অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। আমাকে মারধর করে। ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেয়।

নারায়ণগড়ের তৃণমূল নেতা অমিত মণ্ডল বলেছেন, ঘটনার কথা শুনেছি। ওটা বিজেপির ব্যাপার। আদি বিজেপি ও শুভেন্দু বিজেপির মধ্যে লড়াই। আমাদের কিছু বলার নেই।

যদিও আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে কোন্দলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা নেতৃত্ব। নারায়ণগড় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সত্যজিত্‍ দের অভিযোগ, তৃণমূলই এটা করছে। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে  বিজেপির বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বাঁকুড়ার ছাতনায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। ছিল ‘বিশ্বাসঘাতক’ লেখা প্ল্যাকার্ড।

এছাড়াও এদিন ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতাল চত্বরে শীলভদ্র দত্তর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ছেঁড়া অবস্থায় দেখা যায়। ফ্লেক্সগুলিতে কাদাও লেপে দেওয়া হয়।  এই ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি।

ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উমাশঙ্কর সিংহর দাবি,  বিজেপি এই ব্যানারে ফ্লেক্সগুলি টানায়নি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল ইচ্ছা করে ফ্লেক্সগুলি ছিঁড়েছে।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটের এখনও বাকি কয়েক মাস। তার আগে থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে দলবদলের ঘটনা ঘিরে ঘটছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। চড়ছে উত্তেজনার পারদ।