কলকাতা: রাজ্যপাল ও তৃণমূল নেতৃত্বের বাগযুদ্ধ চলছেই। সোমবার বেলা ১২টায় জগদীপ ধনকড় ট্যুইট করে লেখেন, কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে এডিজি আইনশৃঙ্খলা, IPS অফিসার জ্ঞানবন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁর (জ্ঞানবন্ত) পদোন্নতি করাতে চাইছে। আমি অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের কাছে জ্ঞানবন্ত সিং সম্পর্কিত ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছি।


বিকেলের সাংবাদিক বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন জগদীপ ধনকড়। সেই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে তাঁর বৈঠকে, প্রশাসনিক কর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। ধনকড় বলেন, ডায়মন্ডহারবারে আমার বৈঠক ছিল। ওটা খাস কনস্টিটিউন্সি। ওখানে জেলাশাসক রাজ্যপালের প্রটোকল পালন করতে পারে না। এমন যেন মনে হয় দেশের বাইরে ওটা। ডায়মন্ডহারবার কারও জমিদারি কি? রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কৈফিয়ত তলব করেছে কেন এমন হয়েছে। এটা পশ্চিমবঙ্গের একটা অংশ।


জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, একটা বাচ্চা ছেলে নাতির বয়সী, বিজেপির কেন্দ্র-রাজ্য এবং রাজ্যপাল তাকেও টার্গেট করেছে। রাজ্যপালও তাতে পা বাড়িয়েছেন। সকাল ৯টার পর জিলিপি পাওয়া যায় না, সেটা নিয়েও উনি ট্যুইট করতে পারেন।


বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে একাধিকবার ট্যুইট করেছেন রাজ্যপাল। সাংবাদিক বৈঠকেও তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। ধনকড় বলেন, একুশের ভোট সন্ত্রাসমুক্ত হবে। আগে মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দিক ২০ মাস পর কেন তার ঘুম ভাঙলো। যেখানে রাজ্যপাল কৃষক ঘরের ছেলে। রাজ্য সরকারের মিডলম্যান হওয়া উচিত নয়।


জবাবে কুণাল বলেন, রাজ্যপাল আসলে ট্যুইট না করতে পারলে অস্বস্তি বোধ করেন, এখানে অনেক হাসপাতাল আছে, সেখানে যেতে পারেন, উইথড্রল সিনড্রম নিয়ে।


ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূল-বিজেপির মতোই, রাজ্যপালের সঙ্গেও তৃণমূলের বাগযুদ্ধ চরমে উঠছে।