মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ পুলিশের। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি বিজেপি কর্মীদের। ব্যারিকেডে আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদ।
সবমিলিয়ে বিজেপির নবান্ন অভিযানের ছবি ফিরল উত্তরবঙ্গে। উত্তরকন্যা অভিযানে ফাটল কাঁদানে গ্যাসের একের পর এক শেল। এরইমধ্যে পুলিশের লাঠির ঘায়ে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের লাঠির ঘায়ে মাথায় আঘাত লাগে দলের ওই কর্মীর। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বিজেপির দাবি, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম উলেন রায়।তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ির গজলডোবায়।দিলীপ ঘোষ বলেছেন, দলের বহু কর্মী আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, বিজয়বর্গীয়র দাবি, রবার বুলেটে দলের ওই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ফুলবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি নেতারা ফুলবাড়ি হাসপাতালে যান।
মৃত্যুর বিষয়ে কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি দাবি করেছেন, অনেক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, পুলিশ লাঠিও চালায়নি, গুলিও চালায়নি। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, মৃত্যুর ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও তথ্য নেই।
শিলিগুড়িতে বিজেপির অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠি, গুলি চালানো হয়নি।একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু, জানা যাবে ময়নাতদন্তের পরেই।
বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে পুলিশের পাল্টা দাবি, বিক্ষোভের নামে হিংসা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। পুলিশ সংযম দেখিয়েছে, লাঠিচার্জ করেনি, গুলিও চালায়নি।বিক্ষোভ-হঠাতে শুধু জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়েছে’।
এদিন, বিজেপির মিছিল আটকাতে এদিন শিলিগুড়ির তিন বাতি মোড়ের কাছে তিনটি ব্যরিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। প্রথমে দুটি ব্যরিকেড ভেঙে দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর তৃতীয় ব্যারিকেডের কাছে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। উল্টোদিক থেকে পুলিশে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি।আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ব্যারিকেডে।পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশও। সঙ্গে ব্যাপক লাঠিচার্জ।এরই মধ্যে এক বিজেপি কর্মী আহত হন।ঠিক একইভাবে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ফুলবাড়িও।