কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: কলকাতা থেকে জেলা, উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেও পাসের দাবিতে রাজ্যজুড়ে পড়ুয়াদের দফায় দফায় বিক্ষোভ। এই আবহে সরকারের সঙ্গে  বৈঠকে বসে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কী নিয়ে পড়ুয়াদের অসন্তোষ? তা প্রধান শিক্ষকদের জানাতে বলল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আগামীকাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নথি সহ জমা দিতে পড়ুয়াদের অসন্তোষের কারণ। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত, জানাল শিক্ষা সংসদ। এদিকে মার্কশিটে গরমিলের অভিযোগে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে চিঠি দিল রাজ্যের এক শিক্ষক সংগঠন। 


রেজাল্টের পর থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অসন্তোষ সংক্রমণের চেহারা নিয়েছে। পাস করানোর দাবিতে অসন্তোষের আঁচ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিস থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনে পর্যন্ত পৌঁছেছে। কলকাতা থেকে জেলা, কোথাও রাস্তা অবরোধ, কোথাও বিক্ষোভ, ভাঙুচর। কোনও কিছুই বাদ গেল না। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায়, নবান্নে ডাক পড়ে সংসদ সভাপতির। স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনের সঙ্গে সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের বৈঠক হয়। কেন চারিদিকে অসন্তোষ জানতে চায় নবান্ন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে জবাবদিহি করতে হয় সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসকে।


সূত্রের খবর, বৈঠকে সংসদকে নবান্ন নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করুক সংসদ। নবান্নের নির্দেশ পেয়ে সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস জানান, কোন পরীক্ষার্থীর কী অভিযোগ, তা সংসদে জানাতে বলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে শীঘ্রই পদক্ষেপ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংসদ জানিয়েছে, ছুটির দিন রবিবার থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।




ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ যখন চারিদিকে ছড়াচ্ছে, ঠিক তখনই নতুন এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে একটি শিক্ষক সংগঠন। রেজাল্টের নথি দিয়ে সংসদকে চিঠি দিয়েছে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস। ওই শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনে যে নম্বর পাওয়ার কথা মার্কশিটে তার গরমিল আছে।