কলকাতা: প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রাসের ফল। পরীক্ষার ২০ দিনের মাথায় হলো জয়েন্টের ফল প্রকাশ। 


এদিন পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ‘৯৯ শতাংশের উপর পরীক্ষার্থী সফল হয়েছেন। ৭৪ শতাংশ ছাত্র, ২৬ শতাংশ ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী এসেছিলেন রাজ্যের বাইরে থেকে।’


প্রথম স্থানাধিকারী রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র পাঞ্চজন্য দে। দ্বিতীয় হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সৌম্যজিত দত্ত। তৃতীয় হয়েছেন শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র ব্রতীন মণ্ডল।


জয়েন্ট এন্ট্রান্সে চতুর্থ হয়েছেন অঙ্কিত মণ্ডল। পঞ্চম হয়েছেন গৌরব দাস। ষষ্ঠ হয়েছেন আয়ুষ গুপ্ত। অষ্টম হয়েছেন সপ্তাশ্ব ভট্টাচার্য। নবম হয়েছেন ঋষি কেজরিওয়াল।


পূর্বঘোষণামতো, শুক্রবার ঠিক দুপুর আড়াইটায় সাংবাদিক সম্মেলেনর মাধ্যমে এবছরে ইঞ্জিনিয়ারিং -এ ভর্তির প্রবেশিকার ফল ঘোষণা করল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পর্ষদ। 


জুলাই মাসের ১৭ তারিখ হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির প্রবেশিকা রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। করোনা আবহে বিধি মেনে প্রথম সশরীরে পরীক্ষা দেয় ছাত্রছাত্রীরা।


করোনা আবহে রাজ্যজুড়ে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। বাতিল হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হচ্ছে অনলাইনে। 


এই প্রেক্ষাপটেই রাজ্যে প্রথম পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেন পড়ুয়ারা। বিশেষ অনুমতি পেয়ে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন ও মেট্রোয় চড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন পরীক্ষার্থীরা। করোনাবিধি মেনেই হয় ওই পরীক্ষা। 


এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের জন্য নথিভুক্ত করেছিলেন ৯২ হাজার ৬৯৫ পরীক্ষার্থী। কোভিড পরিস্থিতিতেও ৭১ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। সংখ্যায় তা ৬৫ হাজার ১৭০ জন। 


তার মধ্যে রাজ্যের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬০ হাজার ১০৫ জন। ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থী ৩২ হাজারের বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ। পরীক্ষা হয়েছিল ২৭৪টি কেন্দ্রে। 


দুটি পর্যায়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হয় পেপার ওয়ান ম্যাথমেটিক্স পরীক্ষা। পরের ধাপে দুপুর ২টো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি পরীক্ষা হয়।


কার্যত লকডাউনে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকলেও, চলছিল স্টাফ স্পেশাল। মেট্রো চালু হলেও, পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে চলছিল শুধুমাত্র এক্সাম স্পেশাল।


সেদিন স্টাফ স্পেশাল ট্রেন ও মেট্রোয় ওঠার অনুমতি পেয়েছিলেন জয়েন্টের পরীক্ষার্থীরা। অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে মেলে টিকিট। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর পরও অক্ষরে অক্ষরে মানতে হয়েছিল সুরক্ষাবিধি।