মালদা: মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মালদার গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে একাংশের মধ্যে তৈরি হয় ক্ষোভ। বিধায়কের দলবদলের বিরোধিতা করে এবার দল ছাড়লেন বিক্ষুব্ধ এক বিজেপি নেত্রী, লক্ষ্মী সোরেন। তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি ও তাঁর স্বামী। তাঁদের সঙ্গে বিজেপি ছেড়েছেন ২০০ জন কর্মী। মঙ্গলবার নবাগতদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন, গাজোলের যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি।


লক্ষ্মী সোরেন বলেছেন, দীপালি বিশ্বাস ক্ষমতার লোভে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাই যোগদানের বিরোধিতা করতেই বিজেপির সঙ্গ ছাড়ছেন তাঁরা। মালদা তৃণমূল কংগ্রেস কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেছেন, দীপালি গেলে দলের মঙ্গল। দীপালি গেলে মানুষ আসবে আমাদের সঙ্গে।

যদিও এই যোগদানকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বিজেপি নেতৃত্ব। মালদা বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ওরা গেলে দলেরই ভালো।

মালদার গাজোল, উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গত লোকসভা নির্বাচনে, এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু।

গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রটি তৃণমূলের থাকলেও, লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাওয়াড়ি ফলের হিসেবে, ৪০ হাজারের (৪১,১৭১) বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এখন দেখার, তৃণমূল বিধায়কের বিজেপিতে যোগদানে এখানকার রাজনৈতিক মানচিত্রের কতটা পরিবর্তন হয়।