সত্যজিৎ বৈদ্য ও রাজীব চৌধুরী, কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ: বোমায় আহত মন্ত্রী জাকির হোসেনের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। খবর হাসপাতাল সূত্রে।
আজ ভোর ৫টা নাগাদ মন্ত্রী ও তাঁর এক সঙ্গীকে এসএসকেএম ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। সূত্রের খবর, নিমতিতা স্টেশনে বোমায় আহত আরও ১২ জনকেও এসএসকেএমে আনা হচ্ছে।
তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত একাধিক স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে। চিকিৎসায় গঠন করা হল মেডিক্যাল বোর্ড। সকাল ১০টায় অপারেশন।
গতকাল কলকাতায় ফেরার ট্রেন ধরার সময়, মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার পরই আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গীপুর হাসপাতালে।
মন্ত্রীর উপর হামলাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হলেও, নেপথ্যে কে বা কারা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কিন্তু কেন আক্রান্ত হলেন মন্ত্রী? রাজনৈতিক শত্রুতার জের? না কি নেপথ্যে ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত শত্রুতা? প্রশ্ন উঠছে।
তৃণমূল সূত্রে দাবি, জেলায় গরু পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদ করে রাজ্য সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মন্ত্রী। এ নিয়ে এলাকার কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বিবাদ ছিল। পাশাপাশি, দলের একাংশের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ছিল বলেও দাবি।
তাঁর ওপর হামলা হতে পারে বলে এর আগে রঘুনাথগঞ্জ থানায় অভিযোগও দায়ের করেন জাকির হোসেন। বুধবার সত্যি হল সেই আশঙ্কা।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জেরেই প্রতিমন্ত্রীর ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে নিশানা করেছে কংগ্রেস।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মন্ত্রীও সুরক্ষিত নন। আইনশৃঙ্খলা কোথায় গিয়েছে। বাবু মাস্টার আক্রান্ত। শুভেন্দু ঢিল খেয়েছেন, এরকম হবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবা দরকার।
মুর্শিদাবাদ তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি আবু তাহের বলেন, কারা ঘটাল বুঝতে পারছি না। পুলিশ সুপারকে দেখতে বলেছি। পার্টিগতভাবে তদন্ত করছি।