কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুর:  ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অধিকারী বাড়ির মেজো ছেলের নিরাপত্তায় বহাল হয়েছে  সিআরপিএফ। গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির শান্তিকুঞ্জে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি পরিদর্শন করে যান সিআরপিএফ অফিসাররা।সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের প্রতিনিধিরাও।  শুভেন্দু সেই সময় বাড়িতে না থাকলেও, তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিআরপিএফ ও পুলিশের প্রতিনিধিরা। নিরাপত্তা বন্দোবস্তর প্রস্তুতি হিসেবেই ছিল ওই সফর। আজ সকালেই ৩টি গাড়িতে বাড়িতে চলে আসেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল বুলেটপ্রুফ গাড়িও।  পূর্ব ঘোষণামত শুভেন্দু অধিকারী জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন।  তবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিজেপি নেতা তাঁর নিজের গাড়িতেই ওঠেন। তাঁর জন্য বরাদ্দ বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ওঠেননি।  এরপর নিজের গাড়িতেই তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।


বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই শুভেন্দু অধিকারীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর জন্য জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা বরাদ্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং শুভেন্দুর ওপর হামলার আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, শুভেন্দুর নিরাপত্তায় ২৪ ঘণ্টা ৩০ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকবেন। সবসময় তাঁকে ঘিরে রাখবেন ১০ জন কমান্ডো।
মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সির পরামর্শেই শুভেন্দুর জন্য এই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত। বরাদ্দ করা হয়েছে বুলেটপ্রুফ গাড়ি।
মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেই সরকারি গাড়ি ও নিরাপত্তা ফেরান শুভেন্দু। তারপর থেকে নিরাপত্তা ছাড়াই যাতায়াত করছিলেন।

এদিন বিধানসভায় এসে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু । পাঁচদিন আগে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। এরপর বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।  মেদিনীপুরে অমিত শাহর জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।   বিধায়কপদ থেকে তাঁর ইস্তফাপত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকায় সেটি গ্রহণ করেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান  বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে আজ বিধানসভায় আসতে বলেছিলেন। সেইমতো এদিন দুপুরে বিধানসভায় আসেন শুভেন্দু।  পরে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা গৃহীত হয়েছে। অধ্যক্ষ অফিসে প্রায় মিনিট ১৫ ছিলেন শুভেন্দু। সেখান থেকে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। তারপর  বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সোজা রাজভবনে যান শুভেন্দু অধিকারী।