এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নুসরত লেখেন, চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন। বিজেপি নেতাদের ধন্যবাদ। তারা পশ্চিমবঙ্গকে এত বেশি ভালবাসে দেখে ভাল লাগছে। তবে তাঁদের অবশ্যই মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে তাঁরা কেবলমাত্র পর্যটক। অমিতশাহ জি, আমি আশা করি এই খবর পেয়ে আপনি এবং আপনারা খুশি হবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে এগোচ্ছে সব দল। এই আবহে নির্বাচনী দায়িত্বের রাশ রাজ্য নেতৃত্বের হাত থেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের পছন্দের লোকেদের হাতে তুলে দিয়েছে বিজেপি। কলকাতার দায়িত্বে দুষ্মন্ত গৌতম, হুগলি-মেদিনীপুরের দায়িত্বে সুনীল দেওধর, নবদ্বীপের দায়িত্বে বিনোদ তাওড়ে, রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বে বিনোদ সোনকার ও উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে হরিশ দ্বিবেদী।
বিজেপিকে বহিরাগত বলে একাধিকবার আক্রমণ করেছে তৃণমূল। কখনও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখ্যোপাধ্যায়, কখনও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনও আবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছে এই কথা। তার পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। এদিকে গত কয়েক মাসে দফায় দফায় রাজ্যে এসেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রীরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। আর এই আবহে বিজেপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কটাক্ষ করলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতাদের মনে করিয়ে দিলেন, তাঁরা শুধুই এরাজ্যের পর্যটক।
গত নভেম্বর মাসে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজ্যে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দু'দিনের সফরে ভবানীপুর ও ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছিলেন। ডায়মন্ড হারবারে সফর ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। আমতলা থেকে শিরাকোল অবরোধ করে তৃণমূল। দফায় দফায় আটকানো হয় নাড্ডার কনভয়। নাড্ডার কনভয় সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। যা নিয়ে তুঙ্গে কেন্দ্র রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত। গত শুক্রবার রাজ্যে আসেন অমিত শাহ। মেদিনীপুরে সভা থেকে রবিতীর্থে সফর করেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের দফায় দফায় বঙ্গ সফরকে পর্যটনের উন্নতির কারণ বলে তোপ দেগেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ।