কলকাতা:  সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মঘটীদের বিভিন্ন প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচির চিত্র উঠে এসেছে। কোথাও উর্দিধারীদের সঙ্গে বচসা, তো কোথাও বাদানুবাদ হয়েছে। আবার কোথাও ট্রেন-বাস আটকে অবরোধ করা হয়েছে।


এরমধ্য়েই ব্যতিক্রম চিত্র হিসেবে ধর্মঘটীদের গাঁধীগিরিও ধরা পড়েছে কয়েকটি জায়গায়। বিক্ষোভ প্রদর্শনের মধ্যেই কোথাও পুলিশকর্মীদের গোলাপ দেওয়া হয়, কোথাও আবার চকোলেট বিলি করা হয় উর্দিধারীদের মধ্যে।


মিছিল করে এসে চিড়িয়া মোড়ে জড়ো হন ধর্মঘটীরা। রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করায়, পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের হাতে গোলাপ তুলে দেন ধর্মঘটীরা। এরপরই শুরু হয় বচসা। 


মেদিনীপুর শহরে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়ে গাড়ি আটকায় ধর্মঘটীরা। তুলতে যাওয়ায় পুলিশকে গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তাঁরা।


দুর্গাপুর স্টেশন রোডের কাছে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের হাতে চকোলেট ও তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন ধর্মঘটীরা। 


বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্বরে বামেদের পথ অবরোধ। পুলিশের হাতে গোলাপ তুলে দেন অবরোধকারীরা। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের একটি বাস। অবরোধকারীদের হঠানোর চেষ্টা করায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। ফের গোলাপ ফুল নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন ধর্মঘটীরা। 


বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে আজ ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। ধর্মঘট ঠেকাতে তত্পর প্রশাসন।গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে নজরদারি।


সবার জন্য শিক্ষা, নতুন শিল্প ও চাকরির দাবিতে ১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে গতকাল ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। 
বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতেই, লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। এরপরই পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেয় বামেরা।