অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: ফের জঙ্গলমহলে বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিল। এবার ঝাড়গ্রামের নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল।


নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে দলবদলের পাল্লা বিজেপির দিকে যতটা ভারি ছিল, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সেই দলবদলের পাল্লা ভারি তৃণমূলের দিকে। 


বিজেপি ছেড়ে একে একে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। এবার সেই ছবিটা দেখা গেল ঝাড়গ্রামেও। যে এলাকাকে বিজেপির আঁতুড়ঘর বলা হয়, এবার সেই আঁতুরঘরেই ভাঙন ধরাল তৃণমূল। 


একদিন আগে সাঁকরাইলের রোহিনী গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল। গতমাসে ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতও বিজেপির হাতছাড়া হয়। এবারে ঝাড়গ্রাম ব্লকের নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপির হাতছাড়া হল। 


গতকাল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন এক সদস্য। নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জারুলিয়া সংসদের নির্বাচিত বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্টু সিং ও তার অনুগামীদের নিয়ে সোমবার বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। 


আর এই দলবদলের ফলে বিজেপি পরিচালিত নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতেটি  বিজেপির হাতছাড়া হয়।  গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে দলত্যাগ করাচ্ছে তৃণমূল। শাসকদলের পাল্টা দাবি, উন্নয়নে সামিল হতেই এই দলবদল। 


২০১৮ সালে এই পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ৬টির মধ্যে ৪টি দখল করেছিল গেরুয়া শিবির। তৃণমূল জয়ী হয় ২টি আসনে। এর মধ্যে এক বিজেপি সদস্যের মৃত্যু হয়। 


পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে এখানে বিজেপি নেতা-কর্মী এবং নির্বাচিত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা  মিলে বোর্ড গঠন করেছিল। 


কিন্তু দাবি, আমজনতার উন্নয়নের কাজ করতে না পাওয়ার ক্ষোভ আর গ্লানি থেকেই বিজেপি ছাড়ছেন নেতা-কর্মীরা। এই বিষয়টিকে দলবদলের কারণ হিসেবে তুলে ধরে এক এক করে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে ঘাসফুলে যেতে শুরু করেছেন তাঁরা।


অভিযোগ, অন্তর্কলহের জেরে জঙ্গলমহলের প্রতিটি জায়গায় বিজেপি তলানিতে এসে পৌঁছেছে। প্রতিটি জায়গায় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে দলের নেতা-কর্মীরা প্রত্যেকেই বিভাজিত হয়ে পড়েছেন। 


এবারের বিধানসভা নির্বাচনের পর সেই ছায়া ছড়িয়ে পড়েছে জঙ্গলমহলের প্রতি কোনায় কোনায়।