কলকাতা: আজ বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী অর্থবর্ষে ৩০,৮৭২৭ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হল রোড ট্যাক্সে। কোভিড পরিস্থিতির কারণে ৩১ জুন পর্যন্ত ছাড়ের সময়সীমা ছিল। রোড ট্যাক্সে ছাড়ের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল। স্ট্যাম্প ডিউটির হারেও বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল বাজেটে। স্ট্যাম্প ডিউটি কমানো হল ২ শতাংশ। দলিল রেজিস্ট্রেশনের বাজারদর ১০ শতাংশ হ্রাস করা হল। ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্পে ১১৪৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব। শিল্প-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ১২,৯১৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব। অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়নে বাড়তি গুরুত্ব। অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়নে বরাদ্দ ২,১৭১.৭৮ কোটি টাকা। কৃষি বিভাগের জন্য বরাদ্দ ৯,১২৫ কোটি টাকা।


পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতেও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য থেকে ৩.৭১ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এলপিজির ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে বাজেটে।


বাজেট পেশ করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত বাংলা। আমফানে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটির বেশি। কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে আমাদের টাকাই আমরা পেয়েছি। ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রোড ট্যাক্স মকুব। বেসরকারি বাসের জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রোড ট্যাক্স মকুব। বাংলা এগিয়ে, কেন্দ্র দেশের অর্থনীতিটাই শেষ করে দিয়েছে। কেন্দ্রের এত বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলা এগিয়ে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৯০০ কোটি বরাদ্দ। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। একশো দিনের কাজে দেশে বাংলা এক নম্বরে। রঘুনাথপুরে ৭২ হাজার কোটি টাকার শিল্প আসছে। সিলিকন ভ্যালিতে হাজার কোটির বেশি বিনিয়োগ এসেছে। যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা সব অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। অগাস্ট-সেপ্টেম্বর, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ক্যাম্প। দুয়ারে ত্রাণের জন্য ৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়ে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা রোজগার করেছে কেন্দ্র। ৩ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি জনতার পকেট কেটে রোজগার করেছে কেন্দ্র। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়লে সব কিছুরই দাম বাড়ে। শুধু মন্ত্রিসভার রদবদল করলেই হবে? এসব নিয়ে কিছু ভাবছে মোদি সরকার?’