গোপাল চট্টোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, অনির্বাণ বিশ্বাস, বীরভূম ও কলকাতা:   এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাংলো ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তার জন্য তারিখও বেঁধে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। উপাচার্যকে শাসকনেতার হুঁশিয়ারির সমালোচনা করেছে বিজেপি। যোগাযোগ করা হলেও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি বিশ্বভারতীর উপাচার্য।


অনুব্রত বলেছেন, 'ভিসির বাংলো ঘেরাও করা হবে। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ঘেরাও হবে। এবার ওঁর পাগলামো ছাড়িয়ে দেব'। পাল্টা বীরভূমের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তৃণমূলের কাজই বিশ্বভারতীতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। এরা রবীন্দ্র ঐতিহ্যের কথা বলে গুন্ডামি করে।


এভাবে বিশ্বভারতীকে ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত আরও তীব্র চেহারা নিল। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাংলো ঘেরাওয়ের হঁশিয়ারি দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে সম্প্রতি ৩ পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বরখাস্ত করেছে বিশ্বভারতী। সাসপেন্ড করা হয়েছে ৩ অধ্যাপককে। বুধবার বিশ্বভারতীর দুই অধ্যাপক এবং এক ছাত্র অনুব্রতর বাড়িতে যান। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে আন্দোলন শুরুর কথা বলেন তাঁরা। তারপরই উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি দেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেছেন, আমি বলেছি আপনারা আন্দোলন করুন। আপনাদের আন্দোলন তৃণমূল সমর্থন করবে। তিনদিন ভিসির বাংলো ঘেরাও করা হবে। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ঘেরাও হবে। এবার ওঁর পাগলামো ছাড়িয়ে দেব।


কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বাঁকুড়ার  বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার  বলেছেন,  উনি বিভিন্ন জনকে নিয়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে থাকেন। একজন উপাচার্যকে নিয়ে এমন মন্তব্য ঠিক না।


বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি। তার পাল্টা হিসেবে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ভিতর তৃণমূলের রাখিবন্ধন কর্মসূচি উদযাপন।বিজেপি সমর্থিত রাজ্যসভা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর উপস্থিতিতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে সেমিনার আয়োজন করে পরে তা বাতিল করে দেওয়া। মেলামাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে অশান্তি। একাধিক ঘটনায় সামনে এসেছে তৃণমূল-উপাচার্য সংঘাত।এবার অনুব্রত নতুন হুঁশিয়ারিতে অশান্তির অশনি সঙ্কেত দেখছেন আশ্রমিকরা। এক আশ্রমিক বলেছেন, আমরা শান্তির জন্য এখানে থাকি। শান্তিনিকেতন যেভাবে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে, তাতে শঙ্কিত বোধ করছি। 


এবিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।