কলকাতা: আজ অমাবস্যার কটাল। তার সঙ্গে রয়েছে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি।  মোহনায় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জোয়ার।দিঘাতে সকাল থেকেই উত্তাল সমুদ্র। ভরা কটালের সময় এলে ঢেউ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশাসনের ধারণা, গঙ্গায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পৌঁছোতে পারে ৫ মিটার পর্যন্ত। কটাল পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে জল পুলিশকে। উপকূল এলাকাতেও জারি হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। কলকাতায় জোয়ার শুরু হবে দুপুর দুটোয়। জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পৌঁছতে পারে প্রায় ১৭ ফুট।
ইয়াস ও ভরা কটালের ক্ষত এখনও দগদগে সুন্দরবনে।তারই মধ্যে নতুন আতঙ্ক অমাবস্যার কটাল। সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা। বিপদ এড়াতে প্রশাসন ও মৎস্য দফতরের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, কাকদ্বীপ, সাগর, ফ্রেজারগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।
কটালের সঙ্গে জুড়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। তার জেরেই  ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা সুন্দরবনের উপকূল এলাকায়।ইয়াসে ভেঙেছিল রায়দিঘির মণি নদীর বাঁধ। মাটি ফেলে চলে বাঁধের সংস্কার।তদারকি করেন বিডিও। 
কাজ চলে নামখানার পাতিবুনিয়াতেও।এক স্থানীয় গ্রামবাসীর কথায় ফুটে উঠেছে উদ্বেগ। তিনি বলেছেন, ইয়াসে বাড়িতে জল ঢুকেছিল। ত্রাণ শিবিরে আছি। এখনও বাড়ি আসছি না, বাঁধ হচ্ছে কাঁচা নরম মাটি দিয়ে। এই বাঁধ ফের ভাঙবে। পাকা বাঁধ না হলে টিকবে না।
গত ২৬ মে, ঘূর্ণিঝড় ও ভরা কটালের জোড়া ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, মহিষাদল। হলদি নদীর জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে যায় হরিখালি ও তেরপেখিয়ায় ভেঙে যায় বাঁধ। সেই বাঁধও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সারানো হয়।অন্যদিকে, সুন্দরবনে প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপের হাত ধরেই কাল গোটা রাজ্যে ঢুকে পড়বে বর্ষা। আজ থেকেই বৃষ্টি বাড়বে রাজ্যজুড়ে। গতকাল ছিল আংশিক মেঘলা আকাশ। দক্ষিণবঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়।  উপকূলীয় জেলাগুলোতে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। অন্যদিকে, অমাবস্যার কটালে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের জেরে নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।