কলকাতা: রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণের চিত্র প্রায় অপরিবর্তিত। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ৮৮২ জন। ৯ এপ্রিলের পর রাজ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমে ১০। সক্রিয় রোগী কমল আরও ১৫৩ জন। সুস্থতার হার বেড়ে প্রায় ৯৮ শতাংশ।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তর সংখ্যা ১৫,১৬,৪৮১। মোট সুস্থের সংখ্যা ১৪,৮৫,০১৭। এই মুহুর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্তর সংখ্যা ১৩,৪৮৪। সুস্থতার হার ৯৭.৩৩ শতাংশ। মৃত্যু হার ১.১৯ শতাংশ।গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭,০৯২ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১,৫০,২৯,৮৪৬ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পজিটিভিটি হার ১.৫৪ শতাংশ।
জেলাগুলির মধ্যে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাই। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তর সংখ্যা ৮৯। মৃত্যুর সংখ্যা ১। অন্যদিকে, কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৭৭। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। হাওড়ায় দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ৩৭। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই সংখ্যা ৪৪। হুগলিতে গত একদিনে আক্রান্তর সংখ্যা ৪৯। শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৫৭। পশ্চিম মেদিনীপুরে এই সংখ্যা ৫২, ঝাড়গ্রামে ৪৩, বাঁকুড়ায় ৫৪।
দার্জিলিংয়ে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৬৫, কোচবিহারে ৩৭, আলিপুরদুয়ারে ৩৩। জলপাইগুড়িতে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ৭৯।
বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে করোনা দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৮৯১ জন। মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের। বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৮৩১। মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের।
রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও বিশেষজ্ঞরা তৃতীয় ঢেউয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ রুখতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রস্তুতি স্বাস্থ্য দফতরের। মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্য সচিবের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য ভবনে দু’দফায় বৈঠক হল। প্রথম দফায় বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। দ্বিতীয় দফায় জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। টিকাকরণ ও করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় বলে জানা গিয়েছে।