কলকাতা : রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১০০ ছুঁইছুঁই! রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯৬জনের মৃত্যু । রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১৭ হাজার ৪১১। শুধু কলকাতাতেই একদিনে ২৮জনের মৃত্যু, সংক্রমিত ৩৯২৪ । উঃ ২৪ পরগনায় একদিনে ২০জনের মৃত্যু, সংক্রমিত ৩৯৩২ । দঃ ২৪ পরগনায় একদিনে ৭জনের মৃত্যু, সংক্রমিত ৯৭৩ । হুগলিতে একদিনে ১৪জনের মৃত্যু, সংক্রমিত ৮৮২ । দার্জিলিঙে একদিনে ৭জনের মৃত্যু, সংক্রমিত ৪০০
গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও ভয়ঙ্কর থেকে ভয়াবহ হয়ে উঠছে মারণ করোনা ভাইরাস। পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে শুক্রবার সন্ধে থেকে আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে সমস্ত শপিং কমপ্লেক্স, মল, সিনেমা হল, বিউটি পার্লার, স্পা, রেস্তোরাঁ, বার, বন্ধ থাকবে স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম , সুইমিং পুল। সকাল-বিকেল নির্দিষ্ট সময় খোলা থাকবে বাজার। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে,
- সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ।
- দুপুর ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার-হাট।
- খোলা থাকবে ওষুধ ও মুদি দোকান।
- নেওয়া যাবে হোম ডেলিভারি
- অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে।
ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ৮ দফার ভোট হয়ে গেল রাজ্যে। করোনাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই শয়ে শয়ে সভা-রোড শো, সভা করেছে রাজনৈতিক দলগুলি।
যে ভিড় দেখে রীতিমতো শিউরে উঠেছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের পরামর্শ, করোনার কবল থেকে বাঁচতে, মাস্ক পরার পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে সমস্ত রকম সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত অথবা বিনোদনমূলক জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যেই, ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশিকাকে উল্লেখ করে, গণনা কেন্দ্রে অপ্রয়োজনীয় জমায়েত না করা এবং যথাযথ করোনাবিধি মেনে চলার কথাও বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে।
নবান্ন সূত্রে খবর, জনজীবন যাতে একেবারে স্তব্ধ না হয়ে যায়, তাই এখনই সবকিছু বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে, আগামীদিনে আরও কড়াকড়ি করা হবে।