নয়াদিল্লি : উপসর্গহীন করোনা রোগীদের ১০ দিনের হোম আইসোলেশন যথেষ্ট, ১০ দিনের শেষ ৩ দিনে উপসর্গ না থাকলে আইসোলেশন জরুরি নয়’একটি নির্দেশিকায় জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ‘উপসর্গ না থাকলে ১০দিন পরে আর করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই’ করোনা রোগীদের আইসোলেশন নিয়ে গাইডলাইন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।
করোনার হাল্কা বা মৃদু উপসর্গ যাদের আছে, তাদের বাড়িতেই আইসোলেশনে (Home Isolation) থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ সেই সংক্রান্ত নতুন সংশোধিত নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৷
আর কী কী রয়েছে সেই নির্দেশিকায়, দেখুন -
- ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক রোগী এবং যাঁদের হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, গুরুতর ফুসফুস বা লিভার বা কিডনির অসুখ আছে, অর্থাত্ কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷ যদি কোনও ক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রা নীচে নেমে যায় বা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন রয়েছে এবং চিকিৎসকের সঙ্গে ওই সময়েই পরামর্শ করুন।
- করোনা পজিটিভ ব্যক্তির গুরুতর শারীরিক সমস্যা না হলে হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। আগে ১৫ দিনের মতো হোম আইসোলেশনের পর ফের একবার করোনা টেস্ট করাতে বলা হত আক্রান্তকে। তবে, এবার নির্দেশিকা বলছে, হোম আইসোলেশনের পর কোভিড টেস্টের কোনও প্রয়োজন নেই ।
- বাড়িতে কোনওভাবেই রেমডেসিভিরের ব্যবহার বা অন্য কোনও পরীক্ষামূলক থেরাপির প্রয়োগ একেবারেই নয়।
- যদি প্যারাসিটামলের ৬৫০ mg-র ট্যাবলেট দিনে চার বার খেয়েও জ্বর না কমে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যিনি অন্য ওষুধ তখন দিতে পারবেন ৷ non-steroidal anti-inflammatory drug (Naproxen 250 mg ট্যাবলেট প্রতিদিন দু’বার করে এবং তিন থেকে পাঁচ দিনের জন্য প্রতিদিন খালি পেটে একবার Ivermectin-এর মতো ট্যাবলেট খাওয়ার কথা ডাক্তার সে সময়ে উল্লেখ করতে পারেন ৷
- করোনা রোগীকে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকাটা আবশ্যিক ৷
- নির্দিষ্ট একটি ঘরের মধ্যে এবং অন্যদের থেকে বিশেষ করে বয়স্কদের থেকে দূরে থাকতে হবে। খুব বেশি বদ্ধ জায়গায় থাকা একেবারেই উচিত নয় ৷
- ঘরের মধ্যে খোলামেলা পরিবেশ থাকা দরকার, যেখানে বাতাস চলাচল করতে পারে। ঘরের জানলা খোলা রাখতে হবে, যাতে ঘরে আলো-বাতাস ঢুকতে পারে ।
- সবসময় মুখে পরার জন্য তিনটি স্তর-যুক্ত মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।