কলকাতা: রাজ্যে একদিনে করোনায় ৮১ জনের মৃত্যু। রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪ হাজার ২৮৬ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিত ৬৯৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ৪০১ জন। ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশ। 


গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্য়ে গত ১ দিনে করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন ৪,৮৮৩ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত হন ১৪,৪৮,১০৪ জন। ১১ জুনের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১৫,১৯২ জন।


তবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার সামান্য বৃদ্ধি পায় মৃতের সংখ্যা। শুক্রবারের স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারান ৮৯ জন। বৃহস্পতিবার সংখ্যাটি ছিল ৮৭ জন। পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হারও। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে করোনামুক্ত হন ৪,৩২১ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে সুস্থতার হার ছিল ৯৭.৮০ শতাংশ, যা শনিবার বেড়েছে। 


এদিকে, রাজ্যে নতুন করে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজনকে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হিসেবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। রাজ্যে মোট মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত ৪৮ জন, মৃত ১২। রাজ্যে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল এমন ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


অন্যদিকে, রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও, এখনও উদ্বেগজনক দৈনিক মৃত্যু। করোনাবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশনেও জোর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বয়সজনিত কারণ বা অসুস্থতার জন্য অনেককেই ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে গিয়ে টিকা নিতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ চালু করতে চলেছে শিলিগুড়ি পুরসভা। এ নিয়ে শনিবার একটি বৈঠক করেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক গৌতম দেব। সেখানে ঠিক হয়েছে, পুরসভার পক্ষ থেকে সত্তরোর্ধ্ব এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের বাড়ি গিয়ে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অসুস্থতার জন্য যাঁরা বিছানা থেকে উঠতে বা হাঁটতে পারেন না, তাঁরাও একই সুবিধা পাবেন।