কলকাতা: পুজোর আগে স্বস্তি কমল না রাজ্যে। শুক্রবার কিছুটা সংক্রমণ কমলেও শনিবারের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেতিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৭০০ জন। শুক্রবার এই পরিসংখ্যান ছিল ৬৮৬। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৬৪। 


তবে করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি কোভিড মুক্তের সংখ্যাও কম নয়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭০৭ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা মুক্তের মোট সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২৪ লক্ষ ১৯৪। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। শুক্রবারের থেকে এই সংখ্যা কম। শুক্রবার করোনা গ্রাসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিড কোপে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৪৯১ জন।


গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ১৩১টি। পজিটিভিটি রেট ১.৫৯ শতাংশ। সংক্রমণে শীর্ষে এখন কলকাতা। একদিনে মহানগরে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১২৯ জন। এরপর রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেই জেলায় একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫।


এদিকে, নাকে ওষুধ স্প্রে করে করোনা ভাইরাসকে নির্মূল করার চেষ্টা শুরু। পিয়ারলেস হাসপাতাল সহ দেশের ১০টি কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। চিকিত্‍সকদের আশা,পরীক্ষা সফল হলে করোনা চিকিত্‍সার খরচ অনেকটাই কমে যাবে। এই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য দেশে ১০টি কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। পূর্ব ভারতে একমাত্র পিয়ারলেস হাসপাতালে চলবে এই ট্রায়াল।


উৎসব আবহে কোভিড বিধি মানার সতর্কবার্তা জারি হয়েছে রাজ্যে। করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আঘাত হানতে পারে, এ আশঙ্কা এখনও রয়েছে। শুক্রবারে স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত করোনা বুলেটিন অনুসারে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৬৮৬ জন। তাই তৃতীয় তরঙ্গের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।


এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, এবার রাজ্যে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের উৎসস্থল হতে পারে উত্তর বঙ্গ। বিশেষজ্ঞদের এই আশঙ্কায় উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতর। অন্যদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাঁদের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ দূরের কথা। দুয়ারে সরকারের মতো সরকারী অনুষ্ঠানে হাজার মহিলাকে জড়ো করা হচ্ছে। আর এই মহিলারা করোনা আক্রান্ত হলে, শিশুরা আক্রান্ত হবে। আর এই তৃতীয় তরঙ্গে শিশুদের আক্রান্ত হ ওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও বিরোধীদের অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরী আছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে জোর দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিনের উপর।