কলকাতা : এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন আরও এক বিজেপি বিধায়ক। আজ শাসকশিবিরে নাম লেখান কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। "সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের" জন্য সৌমেনবাবুকে ধন্যবাদ জানান তিনি।


তৃণমূলে যোগ দিয়ে সৌমনেবাবু বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই তৃণমূল করি। এর আগে দীর্ঘদিন তৃণমূল করেছি। ঘটনাচক্রে আমি বিজেপির টিকিট নিয়ে কালিয়াগঞ্জে দাঁড়াই। সেখান থেকে জয়লাভ করি। কিন্তু, আমার মন-প্রাণ তৃণমূল কংগ্রেসে পড়েছিল। সর্বোপরি, বাংলার মানুষ আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২১৩টি আসনে জয়যুক্ত করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় পাঠিয়েছেন। নেত্রী দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সারা বাংলায় উন্নয়নের কাজ করছেন। সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিচ্ছেন। আমি উত্তরবঙ্গে ছেলে। সেখানে ও বাংলায় যেভাবে উন্নয়ন করছেন, তার সঙ্গী হতে পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করলাম। মাঝখানে যে সময়টুকু ছিলাম না, সেটা আমার ভুল। বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এজন্য দলের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী।


প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির 'রক্তক্ষরণ' অব্যাহত। দিনকয়েক আগেই তৃণমূলে ফেরেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, ভুল বোঝাবুঝিতে দল ছেড়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝিতে দল ছেড়েছিলাম। এলাকার উন্নয়ন করতে হলে বাংলার উন্নয়ন করতে হবে। মমতা-অভিষেক বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এলাকার মানুষের পাশে থাকতে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’


তার আগে তৃণমূলে ফেরেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। পাঁচ মাসের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূলে থাকাকালীন বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন তন্ময়। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর শহর সভাপতির দায়িত্বও ছিল তাঁর উপর। বিধানসভা ভোটের আগে, মার্চ মাসে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তন্ময় ঘোষ। যোগদানের পরের দিনই, তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটে জিতেও যান তিনি।