কলকাতা: উৎসব আবহে ফের বাড়ল উদ্বেগ। এক লাফে অনেকটাই বাড়ল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। পাশাপাশি বাড়ল মৃত্যুও। চতুর্থী থেকেই রাস্তায় নেমেছে মানুষের ঢল। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৭৬৮ জন। যা গতকালের চেয়ে অনেকটাই বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
এদিকে, সংক্রমণ বাড়ায় এদিন বাড়ল অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন। পুজোর মধ্যে মাস্ক পরতে অনীহা দেখা গিয়েছে অনেকের মধ্যেই। চিকিৎসকদের কথায়, রাজ্যের উর্ধ্বমুখী কোভিডগ্রাফের কারণ এটাই, মত তাঁদের।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সুস্থতার হার রয়েছে ৯৮.৩১ শতাংশ। করোনা মুক্তের সংখ্যা মোট ১৫ লক্ষ ৫১ হাজার ১১৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০ হাজার ১৮টি, যার মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট ২.৫৬ শতাংশ। এই সংক্রমণ হারই ফের চিন্তা বৃদ্ধি করেছে রাজ্যে। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এবং নদিয়ায় মৃত্যু হয়েছে।
যদিও উৎসবের মরসুমে দেশে করোনা পরিসংখ্যানে খানিক স্বস্তি। গত কয়েকদিনের মতো আজও কমল দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ১৪ হাজার ৩১৩। অন্যদিকে, গতদিনের তুলনায় কমেছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৮১। গতকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ১৩২। মৃতের সংখ্যা ছিল ১৯৩।
এবার ২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের জন্য ভারত বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের আপৎকালীন ব্যবহারে ছাড়পত্র দিল কোভিড ১৯ সংক্রান্ত সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক ১৮ বছরের কম বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সম্পূর্ণ করেছে। গত সেপ্টেম্বরে এই ট্রায়াল পর্ব সম্পূর্ণ হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য ড্রাগস অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল (ডিজিসিআই)-এর কাছে জমা দিয়েছিল ভারত বায়োটেক।