কলকাতা: ৩০ মার্চের পর ফের রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৯০০-র নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৮৮৫ জন, মৃত ১৮। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৯৭ জন। সক্রিয় রোগীর কমে ৮৩০ জন, বাড়ল সুস্থতার হার। 


গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমছে। রবিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে করোনা সংক্রমিত হন ১,২৯৭ জন। গতকাল রাজ্যে করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮,৭৮০ জন। এই সময়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারান ২০ জন। পাশাপাশি একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠেন ১,৭৭৭ জন। 


রাজ্যের মতোই দেশেও কমছে করোনা সংক্রমণের হার। ২৯ জুনের পর দেশে করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ফের নামল ৪০ হাজারের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় কমল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭২৩ জনের। দেশে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৯৬। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় ৪ লক্ষ ২ হাজার ৭২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ২২৯। দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৭১। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৪৩০ জন। একদিনে সুস্থতার সংখ্যা ৪২ হাজার ৩৫২।


সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শেষ হয়নি। ফলে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউ নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে একটি নতুন তথ্য সামনে এসেছে। সেই তথ্য অনুযায়ী, আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সেপ্টেম্বরে এর মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।


এ প্রসঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গ্রুপ চিফ ইকোনমিক অ্যাডভাইজার সৌম্যকান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, 'আমাদের দেশে মে মাসের ৭ তারিখ থেকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ১০ হাজারেরও বেশি অ্যাক্টিভ কেস দেখে ফেলেছেন দেশের মানুষ। পুরনো ধারার উপর ভিত্তি করে দেখলে দেখা যাবে, ২১ আগস্ট থেকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের তীব্রতা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেখানে গত সপ্তাহ পর্যন্ত করোনার অ্য়াক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪৫ হাজারের কাছাকাছি। সেখানে আশঙ্কার আরও একটা বড় বিষয় হচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ শেষ হওয়ার আগেই আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ।'