সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: প্রার্থী হতে না পেরে, এবার নির্দল হিসেবে লড়াই করবেন তৃণমূল নেতা নান্টু পাল। ভোটে শিলিগুড়ি থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। নির্দল হিসেবে দাঁড়ালে দলবিরোধী কাজ হবে, প্রতিক্রিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।


শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান নান্টু পাল জানান, ‘‘মানুষ চাইছে আমি প্রার্থী হই, তাই নির্দল হিসেবেই শিলিগুড়ি থেকে দাঁড়াচ্ছি ৷’’ ভোটে টিকিট না পেয়ে, দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে, নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা নান্টু পাল। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছিল শুক্রবারই। সেদিন শিলিগুড়ি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ওমপ্রকাশ মিশ্রের নাম ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এরপরই দলীয় নেতৃত্ব ও ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন নান্টু পাল। তিনি এর আগে জানান, ‘‘ওমপ্রকাশই দিদিকে দিনের পর দিন সমালোচনা করেছেন, তাঁর নাম নিয়ে জেলা নেতৃত্বে কোনও আলোচনাও হয়নি, দল যে প্রার্থী করতে পারে এরকম আভাসও পাইনি, এই প্রার্থীকে নিয়ে কাজ করা অসম্ভব, আমি নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করব না ৷’’


ক্ষোভের আঁচ পেয়েই শিলিগুড়ির দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত নান্টু পালের মানভঞ্জনে উদ্যোগী হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার তাঁকে নিয়ে বৈঠক করেন অরূপ বিশ্বাস ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পরেও, চিঁড়ে ভিজল না। শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান নান্টু পাল জানান, ‘‘বাইচুংকে প্রার্থী করেও হেরেছিল, পরাজয়ের দায় আমাকেই নিতে হয়, এবার আর দায় নিতে রাজি নই, মানুষ চাইছে আমি প্রার্থী হই, তাই নির্দল হিসেবেই শিলিগুড়ি থেকে দাঁড়াচ্ছি ৷’’


দার্জিলিংয়ের তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত নান্টু পাল তাঁর সিদ্ধান্ত দলে জানাননি, তাই মন্তব্যের জায়গায় নেই, তবে নির্দল হিসেবে দাঁড়ালে দলবিরোধী কাজই হবে ৷’’


৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে শিলিগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলর নান্টু পাল। এরমধ্যে ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সময়কালে ডেপুটি মেয়র ও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। পঞ্চম দফায় ১৭ এপ্রিল ভোট রয়েছে শিলিগুড়িতে। এই অবস্থায় এখানকার রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ নান্টু পাল এবার নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃণমূলের ওপর এর প্রভাব কতটা পড়বে, সেটাই দেখার।