সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা :  বিধানসভা ভোটের মুখে এবার শাসক শিবিরের নজর নতুন ভোটারের দিকে। সেই ভোটারদের কাছে টানতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মিষ্টি, পেন ও ফুল বিলি শুরু করলেন হাবড়ার তৃণমূলের পুর প্রশাসক। সঙ্গে ছিল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে শুভেচ্ছা বার্তা। যদিও তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এসব করে লাভ হবে না, কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।


কখনও তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো দেওয়া শাড়ি, কখনও তৃণমূলনেত্রীর ছবি দেওয়া লুডোর বোর্ড। যেখানে মইয়ের ওপর তৃণমূলনেত্রীর ছবি, আর সাপের মুখে বিজেপি নেতৃবর্গ। ভোটের প্রচার করা হোক বা জনসংযোগ বাড়ানো.... বার বার নানা রকম কৌশল নিয়েছে শাসক দল। বিলি করা হয়েছে তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পর নাম লেখা ঘুড়িও।

এবার নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মিষ্টি, পেন ও ফুল বিলি শুরু করলেন হাবড়ার তৃণমূলের পুর প্রশাসক। বুধবার ১৩ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন ভোটারদের শুভেচ্ছা জানানো হয় তৃণমূলের তরফে।

হাবড়া পুরসভার মোট ২৪টি ওয়ার্ড। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী,  নতুন ভোটার ২১২০ জন। শাসক শিবিরের দাবি, সব ওয়ার্ডের নতুন ভোটারদের কাছে যাবেন তাঁরা। যুব তৃণমূল নেতা তথা হাবড়ার পুর প্রশাসক নীলিমেশ দাস বলেছেন, ‘২১২০ জন নতুন ভোটার, প্রত্যেক ওয়ার্ডে গিয়ে কথা বলব, নতুন প্রজন্মের ভোটারদেরকে স্বাগত জানানোর জন্য এবং বর্তমান পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য এই উদ্যোগ।’

তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ভোটের জন্য এসব করেছে, লাভ হবে না এসব করে।’ গত লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাভিত্তিক ফলে,  হাবড়া বিধানসভা আসনে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে ১৯,৪৫২ হাজার ভোটে।

ভোটের আগে উপহার কৌশল নতুন কিছু নয়। কিন্তু পুরোনো গড় আদৌ ফিরবে নতুন ভোটারে? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।