মুন্না আগরওয়াল, দক্ষিণ দিনাজপুর : দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে মদ্যপ অবস্থায় তাদের অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি অস্থায়ী কার্যালয়ের প্যান্ডেলের কাপড়, ফ্লেক্স, ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয়।
পাশাপশি স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের দাবি কয়েক'শ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের বাড়িতে চড়াও হয়। লালন পাল নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির টিনের ঘরের দেওয়ালে একাধিক লাথি মারে, এবং তার ছেলেকে প্রানে মারার হুমকি দেয়।এই ঘটনার পরই আজ সকালে গঙ্গারামপুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান লেখা এই ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রাথমিকভাবে কিছু বলবেন না বলে জানান।
এদিকে, বীরভূমের নানুরে বিজেপি প্রার্থী তারক সাহার প্রচারে বাধা দানের অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে বাধা দিতে গুলি চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। প্রচারে বাধার পর এখনও সংশ্লিষ্ট গ্রামেই বিজেপি প্রার্থী আটকে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের প্রচারে নানুরের একটি গ্রামে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সময় একদল বহিরাগত হামলা চালায়। তারা গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, যারা হামলা চালিয়েছে তারা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক।
অপরদিকে, নৈহাটি বিধানসভার গ্রামীণ মণ্ডলের কাঁপা-নাগদাতে বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনি পাত্রের সমর্থনে লাগানো ফ্লেক্স-ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শ্রীরামের ছবিও। অভিযোগের তির তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি গ্রামীণ মণ্ডল কাঁপা-নাগদা ২২ ও ২৪ নম্বর বুথে, শনিবার রাতে।
ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকালে নাগদা এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। হাজির ছিলেন নৈহাটির বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনি পাত্রও। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আগ বাড়িয়ে গণ্ডগোল সৃষ্টি করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেে। প্রশাসন এবিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবে বিজেপি। যদিও ফাল্গুনির এই অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী ববি ঘোষ জানান, এধরনের ঘটনা সত্যিই নিন্দনীয়। তবে এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয় বলেই তাঁর অভিমত।