গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: লালমাটির দেশ বীরভূমের বাতাসে ফের বারুদের গন্ধ। মুড়ি-মুড়কির মতো পড়ল বোমা ৷ ঘটনায় দু’ পক্ষের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে ভোটের আগে ফের অশান্ত লাভপুর। 


ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। অভিযোগ, হাতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিশ্বজিৎ সাহার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। 


বিজেপির পাল্টা দাবি, উল্টে তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করেই বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে জখম হন এক বিজেপি কর্মী। তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ভোটের আগে এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


লাভপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী জানান, ‘‘বিজেপির দুষ্কৃতীরা আমাদের পঞ্চায়েত মেম্বারের বাড়িতে বোমা ছোড়ে। ওরা সন্ত্রাস করছে। আমাদের দমাতে পারবে না ৷’’


বীরভূমের বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, ‘‘এভাবে বোমাবাজি করে আমাদের আটকানো যাবে না ৷ খেলা শুরু করেছে ওরা। এবারে পাল্টা হবে ৷ ওরা টের পাবে ৷ মানুষ ওদের পাশে নেই ৷’’


ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’ পক্ষের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে লাভপুর থানার পুলিশ৷ গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। লাভপুরে তৃণমূল এবার প্রার্থী করেছে অভিজিত্‍ সিংহকে।


সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে সিপিএমের টিকিটে সৈয়দ মফিজুল করিম। বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি।বীরভূমের ১১টি আসনে ভোটগ্রহণ ২৯ এপ্রিল। শেষপর্যন্ত লালমাটির রাশ থাকবে কার হাতে? তার উত্তর মিলবে ২ মে।


বীরভূমের দুবরাজপুরে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় তিন তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ এনআইএ-র।


অভিযোগ, কাঁকড়তলার ভাদুলিয়া গ্রামে তৃণমূল কর্মী বাবলু মণ্ডলের বাড়িতে বোমা মজুত করা ছিল। সেখানে বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনার তদন্তভার নেয় এনআইএ।


সেই মামলায় গত সোমবার খয়রাশোল ব্লকের তিন তৃণমূল নেতা কেদারচন্দ্র ঘোষ. পার্থসারথি গড়াই ও নুরুল আজিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।