মালদা: গরুপাচারকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গ। তদন্তে আসরে নামতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে উঠে এসেছে একাধিক নাম। সেই তালিকায় রয়েছে বিএসএফ আধিকারিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী। 


ভোটের মুখে আজ নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে এসেছেন যোগী আদিত্যনাথ। মালদার গাজোল কলেজ মাঠে আজ সভা করেন বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।


এদিন সেই গরুপাচারকাণ্ডকে হাতিয়ার করে রাজ্যের শাসক শিবিরকে আক্রমণ করলেন যোগী আদিত্যনাথ। দাবি করলেন, বিজেপি এলে এই অরাজকতা থেকে মুক্তি মিলবে। 


উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে কেউ গো-হত্যা করতে পারেন না, অথচ এখানে গরুচুরি হচ্ছে। বিজেপিকে আনুন, একদিনে গরুচুরি, অরাজকতা বন্ধ হয়ে যাবে।’ 


 



 


তিনি যোগ করেন, বিজেপি ক্ষমতায় এসে গোহত্যা , পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, গোহত্যা রুখতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 


বাংলা হিংসার ভূমি হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করেন আদিত্যনাথ। বলেন, ‘হিংসার ভূমি হয়ে উঠেছে বাংলা। বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলায় লাভ জিহাদের ঘটনা ঘটছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘উত্তরপ্রদেশে আইন হয়েছে, বাংলায় শুধু তোষণ-রাজনীতি হয়ে চলেছে।’


'জয় শ্রী রাম' স্লোগান নিয়ে কার্যত বিভক্ত বঙ্গ রাজনীতি। বিতর্ক নিয়ে তুমুল শোরগোল উঠেছে রাজ্যে। এদিন এই বিষয়টি নিয়েও মুখ খোলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দেন, রাম নামে অপছন্দ হলে বাংলায় জায়গা হবে না। বলেন, ‘জয় শ্রীরাম বললে, বাংলায় বাধা দেওয়া হয়। 
রামনাম অপছন্দ করলে, বাংলায় জায়গা নেই।’


 



 


তিনি বলেন, ‘এখন বাংলায় অপরাধ, অরাজকতা বেড়েছে। এখানে কেন্দ্রের প্রকল্প চালু হয় না। বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। দুর্গাপুজো করতে এখানে সমস্যায় পড়তে হয়।‘


কেন্দ্রের প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন আদিত্যনাথ। বলেন, ‘বাংলায় কেন্দ্রের প্রকল্প চালু হয় না। চালু হয়নি কিষাণ সম্মান নিধি। তাঁর প্রশ্ন আয়ুষ্মান ভারত, কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প কেন চালু হল না?


এখানেই থামেননি আদিত্যনাথ। বলেন,  ‘আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলছেন মোদি। আর বাংলায় কুটিরশীল্প ভেঙে পড়েছে। বাংলায় শুধু তোষণ-রাজনীতি হয়ে চলেছে।‘