শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দলের মধ্যে ভিন্ন সুর বরদাস্ত করা হবে না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেস। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত বক্সি কোচবিহারে আসছেন, তার সঙ্গে আলোচনা করেই বেসুরোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়।
আজ কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসে "বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়" স্লোগানের উদ্বোধন করেন পার্থ প্রতিম রায়। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন গতকাল দিনহাটায় যা হয়েছে তা বরদাস্ত করা হবে না, দলের মধ্যে ভিন্ন মত থাকবে না বলেও তিনি দাবি করেন।
শনিবারে দিনহাটা নয়ারহাটে কর্মীসভা করে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকে যাতে ফের প্রার্থী না করা হয় তার দাবি তোলেন তৃণমূলের একাংশ। যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন দিনহাটা ২ ব্লক সভাপতি মীর হুমায়ুন কবীর , দিনহাটা ২ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মিলন সেন প্রমূখ। সরাসরি বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করায় যথেষ্টই বিড়ম্বনায় পড়ে দল। ফের একবার জনসমক্ষে এসে পড়ে কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের অর্ন্তদ্বন্দ্ব।
যে ঘটনার পরের দিনই জনসাধারণের কাছে দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে কড়া হাতে ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দেওয়া হল। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা কার্যালয়ে এই দাবি করার আগেই দিনহাটা বিধানসভার অন্তর্গত কিশামত দশগ্রাম এলাকায় কর্মীসভা করেন পার্থপ্রতিম রায়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ এবং তৃণমূল নেত্রী সুজাতা খান মন্ডল।
যে সভা মঞ্চ থেকে দলের অভ্যন্তরে থেকে যারা দল বিরোধী কাজ করছেন তাদের হুঁশিয়ারি দেন পার্থ প্রতিম রায়। সভার শেষে উদয়ন গুহ বলেন "আমি বিধায়ক হব কি না সেটা কি করে বলব, জনগণ যদি পাশে থাকে তবে বিধায়ক হব, তার আগে দল যদি টিকিট দেয়, জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে কি কারো ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে? এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।
সব মিলিয়ে ভোটের আগে তৃণমূল জেলা সভাপতির এই অবস্থান কতটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমাতে পারবে তার উত্তর সময়ই দেবে।