সুমন ঘড়াই ও সন্দীপ সরকার: বিধানসভা ভোটের মুখে বঙ্গ-রাজনীতিতে নতুন ইস্যু করোনার ভ্যাকসিন! বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, করোনাযোদ্ধাদের পর এবার সাধারণ মানুষও ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। আর কেন্দ্রের এই ঘোষণার দিনই সকল রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য,  ভ্যাকসিন কিনতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, পয়লা মার্চ থেকে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং কোমর্বিডিটি থাকলে ৪৫ বছরের বেশি বয়সীরা করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন মিলবে। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে। আর এদিনই রাজ্যের দেওয়া চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, আতঙ্কের বিষয় হল  ভ্যাকসিন না নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য হবেন সাধারণ মানুষ।


এই পরিস্থিতিতে সবার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, বিষয়টি যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়  যাতে সরাসরি প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাকসিন কেনা যায়। কারণ সবাইকে বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দিতে চায় রাজ্য সরকার।




যদিও ভোটের আগে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের নেপথ্যে ভোট রাজনীতি দেখতে পাচ্ছে বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র আন্তরিক, কিন্তু যেভাবে চিঠিটি দেওয়া হল, কেন্দ্র অবশ্যই সহযোগিতা করবে। কিন্তু এটা তো ভোট রাজনীতি।’’


সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানান, ‘‘ভ্যাকসিন যেন ভোট রাজনীতির অঙ্গ না হয়। শুরুতে বললে ভাল হতো। কিন্তু ভোট কাছে এলেই৷’’’


এতদিন প্রথম সারির করোনাযোদ্ধারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। পয়লা মার্চ অর্থাৎ আগামী সপ্তাহ থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন সাধারণ মানুষও।