সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা শঙ্কর ঘোষ যোগ দিলেন বিজেপিতে। আজ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন শঙ্কর। যদিও, তাঁর দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএম।


বামদের প্রার্থী তালিকায় যখন তরুণ মুখের ছড়াছড়ি, তখন বিজেপিতে নাম লেখালেন, ছাত্র-যুব আন্দোলন করে উঠে আসা শিলিগুড়ির বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা শঙ্কর ঘোষ। 


মায়ের অসুস্থার কারণে, বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ-এর ব্রিগেডে আসতে না পারার কথা বলে সম্প্রতি সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অক্ষেপও করেছিলেন তিনি।


বুধবার দ্বিতীয় পর্যায়ে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়। শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে অশোক ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। বহু কেন্দ্রেই তরুণ প্রজন্মকে প্রার্থী করা হলেও, এখানে পুরনো সৈনিকের উপরেই আস্থা রেখেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। 


মঙ্গলবার, সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির সম্পাদককে চিঠি দেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা অশোক ভট্টাচার্যের ঘণিষ্ঠ বলে পরিচিত সিপিএম নেতা শঙ্কর ঘোষ।


চিঠিতে সিপিএমের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি চান। পাশাপাশি, শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর পদ থেকেও ইস্তফা দেন। দল ছাড়তে চাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বামেদের সঙ্গে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের জোটকে দায়ী করেন তিনি। 


এরপরই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে সিএপিএম। হাতে চে-র ছবি আঁকা উল্কি। শুক্রবার, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন সিপিএমের শঙ্কর ঘোষ ৷ 


তিনি বলেন, পার্টিতে ৪ বছর ধরে যন্ত্রণার মধ্যে ছিলাম। দল কম্প্রোমাইজ করছিল, মেনে নিতে পারছিলাম না। দল ধর্মীয় ইন্ধন জুগিয়েছে। যে মানুষদের উন্নয়নের কথা বলে রাজনীতি করেছি, মোদির মধ্যে তা দেখতে পেয়েছি। 


জেলা রাজনীতিতে বরাবরই অশোক ভট্টাচার্য ও জীবেশ সরকার জুটির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও, ভোটের মুখে তাঁর দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক তথা প্রার্থী।


সামনেই, শিলিগুড়িতে গড় ধরে রাখার লড়াই সিপিএমের। তার আগে, অশোক-জীবেশ জুটির অন্যতম সেনাপতির দলবদল কি কোনও প্রভাব ফেলবে? উত্তর মিলবে ভোটের ফল বেরনোর পরই।