নয়াদিল্লি ও কলকাতা:  বৃহস্পতিবারই নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে ট্যুইট করেছিলেন। শুক্রবার নাটকীয়ভাবে রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করলেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। 


এদিন পদত্যাগ করার সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তুললেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন দীনেশ। বলেন, দমবন্ধ হয়ে আসছিল। দলে কাজ করতে পারছিলাম না। মনের কথা শুনতে পারছিলাম না। 


এবার কি তৃণমূল ছাড়বেন পদত্যাগী সাংসদ? তারপর পা বাড়াবেন বিজেপির দিকে? যথারীতি জল্পনা উস্কে দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি বলেন, পার্টিতে যা ভদ্রলোক আছেন, ছেড়ে চলে আসবেন। তিনি যোগ করেন, দীনেশ বিজেপিতে এলে স্বাগত জানানো হবে।


তৃণমূলের পাল্টা প্রশ্ন, হঠাৎ এতদিন পর দীনেশ ত্রিবেদীর এসব মনে পড়ল কেন? দলের নেতা ‘আগে তিনি অভিযোগের কথা জানাননি। ওনার সিদ্ধান্তে আমি দুঃখিত। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে দল। ভোটের মুখে এটা করা ঠিক হল না’, প্রতিক্রিয়া সৌগত রায়ের।


তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, চারদিকে হর্স ট্রেডিং হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজ্যস্থানে হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গেও হচ্ছে। তিনি হয়েছেন কিনা কে জানে। 


‘একবার রেলমন্ত্রী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি অন্তরাত্মা, মনের কথা জানিয়েছেন। উনি দলে এলে স্বাগত জানানো হবে। তৃণমূলে সকলকে দমবন্ধ অবস্থায় থাকতে হয়’, প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের।


দীনেশ ত্রিবেদীর জন্ম এক গুজরাতি পরিবারে। ছোটবেলায় বাবার চাকরি সূত্রে প্রথম কলকাতায় আসেন। দীনেশ ত্রিবেদীর পড়াশোনা শুরু হিমাচলপ্রদেশের স্কুলে। তারপর কলকাতায় ফিরে ভর্তি হন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। 


মনমোহন সিং মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী ও পরে রেলমন্ত্রী হন দীনেশ ত্রিবেদী। ২০০৯ ও ২০১৪-য় ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে লোকসভার সাংসদ হন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির অর্জুন সিংয়ের কাছে হেরে যান দীনেশ ত্রিবেদী। এরপর রাজ্যসভার সাংসদ হন।


এর আগে ১৯৯০-৯৬ ও ২০০২-২০০৮ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে।