রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: উনিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে হারের কথা নিজে মুখে স্বীকার করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তা নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ।
বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল। শনিবার, জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়ে জনসভা থেকে বলেছিলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে গোহারা হেরেছি, তাতে আমার লজ্জা নেই। এবার পুষিয়ে দেবেন তো...?’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতে, ‘‘আগের বার গোহারা হেরেছে। এবার রামছাগল হারা হারবে ৷’’
লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তৃণমূলকে। চমকপ্রদ ফল করেছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গ ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল। সাম্প্রতিককালে উত্তরবঙ্গের একের পর এক জেলায় সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাগরাকাটার ইওরোপিয়ান ক্লাবের ময়দানে জনসভা করবেন তিনি। সভা উপলক্ষ্যে জোরকদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানান, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তপশিলি জাতি-উপজাতি, এস.সি. এস.টি জনজাতি, নেপালি সম্প্রদায়, আদিবাসী সম্প্রদায়ের কল্যানকল্পে যে কাজ করেছেন সে বিষয়ে বার্তা দেবেন। তৃণমূলের ১ লক্ষ লোক হবে। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য চা-বলয় অধ্যুষিত এলাকার সকল মানুষ।’’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জলপাইগুড়ির বিজেপি সভাপতি অলোক চক্রবর্তীর মতে, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে আসছেন না, ঘুরতে আসছেন, এরপর বিজেপি ক্ষমতায় এলে উনি জেলে থাকবেন, তারপর তো আর ঘুরতে পারবেন না, তাই ডুয়ার্সে এসে শেষ ঘোরা ঘুরে যাচ্ছেন। গোষ্ঠীকোন্দল ঠেকাতে দলটাকে বাঁচাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করতে আসছেন। আর ১ লক্ষ লোক কোথা থেকে আনবেন ?’’
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের ৮টির মধ্যে ৭টি আসনই দখল করে বিজেপি। তৃণমূলের হাত ছিল খালি। লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফল অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের ৫৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ৩৭টিতে ও তৃণমূল ১৩টিতে।
এই পরিস্থিতিতে ভোট পুনরুদ্ধারে মরিয়া তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে তারা কতটা সক্ষম হয়, উত্তর দেবে সময়।